Monday 20 April 2020

নীল আকাশের চাঁদনী

নীল আকাশের চাঁদনী



আকাশ তার বাবাকে স্টেশন নিতে যাবে, প্লাটফরম এ বসে রয়েছে বাবার অপেক্ষাই। দূর থেকে দেখলো ট্রেন ঢুকছে,সে দাঁড়িয়ে পড়লো, 🚆 ট্রেন ঢুকে পড়েছে,ইতি মধ্যে তার সঙ্গে এক ভদ্র মহিলার ধাক্কা লেগে গেলো, মেয়েটির হাত থেকে তার ব্যাগ, মোবাইল পরে গেলো।আকাশ মেয়েটার দিকে তাকিয়ে , আর চোখ ফিরাতে পারলনা.... লম্বা লম্বা সোজা সোজা চুল,চোখে কাজল,ঠোঁটে লিপিস্টিক,একটা সালওয়ার হলুদ রং এর।আকাশ শুধু তার দিকেই চেয়ে রইল।এদিকে আকাশ এর বাবা আকাশ এ খুঁজে পাইনা।মেয়েটি রেগে তাকালো আকাশ এর দিকে,অনেক কথা শোনাতে লাগলো। হঠাৎ চাঁদনী বলে ডাক আসায় সে সাড়া দিল। চাঁদনী তার বাবা কে দেখে সেখান থেকে চলে এলো,আকাশ কে ধাক্কা দিয়ে।
আকাশ এর বাবা তৎক্ষণাৎ আকাশ কে খুঁজে পেলো।দুজনে বাড়ি ফিরলো।আকাশ দিন রাত চাঁদনী এর কথা ভাবতে লাগলো।
তার পর হটাৎ একদিন এক শপিং মল এ,চাঁদনী এসছিল,আকাশ ও তার বন্ধুদের সঙ্গেির পিছন করলো,এই ভাবে আকাশ তার বাড়ি পর্যন্ত গেলো।
পরের দিন থেকে আকাশ তার বাড়ির সামনে গাড়িতে বসে থাকে ,চাঁদনী যেই বেরোলো,আকাশ তার পিছন পিছন গেলো।
চাঁদনী অটো থেকে নেমে দেখলো সেই স্টেশন এর ছেলেটি তার পিছন করছে।
এই ভাবে আকাশ পিছন পিছন যাই,চাঁদনী বড্ড রেগে গেলো।চাঁদনী তার সামনে গিয়ে দাঁড়ালো, আর বলতে লাগলো,কি হচ্ছে এটা?তুমি আমার পিছন কেনো করছো??আকাশ বলল হায়!!আমি আকাশ,আমি জানি তুমি চাঁদনী।
চাঁদনী বললো তো কি হয়েছে,কি চাও তুমি?আকাশ চুপ রইল।চাঁদনী চলে গেলো।
এই ভাবে কিছুদিন পেরিয়ে গেলো।
আকাশ প্রতি দিনই,তার বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে লাগলো।চাঁদনী জানালা দিয়ে দেখতো, আর সঙ্গে সঙ্গে জানালা বন্ধ করত।
একদিন রাস্তায় চাঁদনী বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিল, হঠাৎ রাস্তাই অটো খারাপ হয়ে গেলো,সে হাটতে শুরু করলো,ঠিক তখনই কিছু ছেলে তার পিছন করলো। সে দৌড়তে লাগলো,ছেলে গুলো তার পিছু দৌড়াচ্ছে,সেই মোমেন্ট এ আকাশ বাইকে ওই পথ দিয়ে আসছিল,সে চাঁদনী কে দেখে গাড়ি দাড় করলো।চাঁদনী আকাশ কে দেখে থেমে গেলো।আকাশ কে সামনে দেখে ছেলে গুলো সেখান থেকে পালিয়ে গেলো।


আকাশ চাঁদনী কে বাইকে চাপতে বললো,চাঁদনী তার দিকে রেগে তাকালো, আর বললো আমি কখনোই তোমার বাইকে চাপবনা।আকাশ সেখানে ততক্ষণ দাড়িয়ে থাকলো যতক্ষণ না চাঁদনী অটো পেলো।
চাঁদনী কে অটোই চাপিয়ে আকাশ নিজেও গেলো।
পরদিন সকালে চাঁদনী ঘুম থেকে উঠে দেখল প্যাসেজ এ একটি চিরকুট, আর কিছু গোলাপের কুড়ি।লিখা আছে ,চাঁদনী আমি তোমাকে প্রথম দেখেই পাগল হয়ে গেছি,যেদিন থেকে তোমাকে দেখেছি সব ভুলতে শুরু করেছি।চাঁদনী , প্লিজ আমার ভালোবাসা কবুল করো কেমন। আর রাস্তায় একা চলা ফেরা করোনা ,তোমার কিছু হলে আমি বেঁচে থাকতে পারবনা।চাঁদনী নিচে তাকিয়ে দেখলো আকাশ সেখানে দাঁড়িয়ে রয়েছে। চাঁদনী চিরকুট টা তার সামনে ছিড়ে ফেললো।আকাশ তার পর চলে গেলো হাসতে হাসতে।
হঠাৎ আকাশ এর মা আকাশ কে বললো,যে কাল আমরা একটা বিয়েতে যাবো সপরিবার এ।আকাশ কোনো মতেই রাজি নয়,বিয়েতে গেল সে চাঁদনী কে দেখতে পাবে না।
কোনো ভাবে আকাশ এর মা তাকে যাওযার জন্যে রাজি করলো।
পরের দিন তারা বিয়েতে গেলো,আকাশ এর কোনো কিছুই ভালো লাগেনা।আকাশের মা বিয়ে বাড়িতে আকাশ এর জন্যে মেয়ে খুঁজতে লাগলো,আর আকাশ কে বললো কোনো মেয়ে ভালো লাগলে বলিস আকাশ,এই ভাবে হাসা হাসি করতে লাগলো।আকাশ ভাবলো তার বউ একমাত্র চাঁদনী ই হবে অন্য কেউ না।
আকাশ বসে আছে ,এমন সময় চেচামেচি এর আওয়াজ শুনে সে সেখানে গেলো,গিয়ে দেখলো, চাঁদনী সেখানে দাড়িয়ে রয়েছে।সে চাঁদনী কে বিয়েতে দেখে অবাক রয়ল,আকাশ দেখলো চাঁদনী র চোখে জল,চাঁদনী তার বাবাকে জড়িয়ে ধরে আছে।চাঁদনির বাবা চাঁদনী ভেতরে নিয়ে গেলো।আকাশ লুকিয়ে লুকিয়ে সব শুনলো,চাঁদনির বাবা চাঁদনির জন্য পাত্র ঠিক করেছে,কিন্তু চাঁদনী বিয়ের জন্যে রাজি নেই.......…...আকাশ তার বাবা কে আসতে দেখে লুকিয়ে পড়লো,চাঁদনির বাবা যাওযার সঙ্গে সঙ্গে,সে চাঁদনির কাছে গেলো,আকাশ কে দেখে চাঁদনী,অবাক চোখে তাকিয়ে রইলো।চাঁদনী বলে উঠলো তুমি??এখানে কি করছ এখানেও পিছনে পিছনে চলে এসছো? এখান থেকে চলে যাও।


আকাশ চাঁদনী কে অনেক বোঝানোর চেষ্টা করলো,চাঁদনী কোনো মতেই বুঝতে চাইলো না।।

আকাশ রেগে সেখান থেকে নিচে চলে এলো।আকাশ এর মা আকাশ এর জন্যে একটা মেয়ে পছন্দ করেছে,তার ই এক রেলাটিভ,আকাশের মা পরিচয় করিয়ে দিল একে অপরের সঙ্গে,আকাশ মেয়েটির সঙ্গে কথা বলছিল,চাঁদনী নিচে এসে দেখলো আকাশ কে অন্য মেয়ের সঙ্গে কথা বলতে।
চাঁদনী কে দেখে আকাশ ওর কাছে এলো,চাঁদনী তবুও আকাশ কে ইগনোর করলো।
চাঁদনী বাইরে ফাঁকা জাইগাই চলে গেলো,একটা নদীর ধরে গিয়ে একা বসলো,আকাশ চাঁদনির পাশে গিয়ে বসল,চাঁদনী শুধু চুপ করে বসেই আছে আর নদীর দিকে তাকিয়ে রয়েছে।


আকাশ চাঁদনির হতে হাত রেখে বললো প্লিজ ওই ভাবে কান্নাকাটি করোনা,তোমার চোখে জল আমাই ভালো লাগেনা।খুব ভালোবাসি তোমায়।

চাঁদনী তখন আকাশ কে যত পরলো কথা শোনাল..
.......প্লিজ আমার লাইফ থেকে দূর হও।চাইনা আমি তোমাকে চাইনা তোমার ভালোবাসা,দিন রাত আমার পিছনে কেনো পরে থাকো।কোনো প্রতিদিন আমার বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে আমাকে বিরক্ত করো???আমার চোখের সামনে থেকে দূর হও এক্ষনি, আর যেনো কখনোই তোমাকে আমি আমার সামনে না দেখি....আর কখনোই আমার বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে রইবে না,। আকাশ বললো চাঁদনী এই ভাবে বলো না আমি মরেই যাবো।চাঁদনী বললো তুমি মরলে আর বাঁচলে আমার কোনো কিছুই যাই আসে না। লিভ মি আলোন......





আকাশ এটা শোনা র পরে চাঁদনী কে শুধু এটাই বললো, শোনো এত রাত্রে একা এখানে থেকোনা ,তুমি যতক্ষণ না বাড়ি যাচ্ছ আমিও এখানেই থাকবো।
চাঁদনী উফফফ......বলে সেখান থেকে সোজা বাড়ি গেলো।
অনেক্ষন পর, চাঁদনী আকাশ কে খুঁজছে কিন্তু আকাশ কে খুঁজে পাচ্ছে না এদিক ওদিক তাকাচ্ছে,কিন্তু খুঁজে পাইনা।
চাঁদনী আকাশ এর মা কেউ আকাশ কে খুঁজ তে দেখলো।
চাঁদনীর তখন টেনশন হতে লাগলো আকাশ এর জন্যে।
চাঁদনী আর থাকতে না পেরে বাইরে দিকে দেখলো,উপরে দেখলো,রাস্তা দেখলো কিন্তু আকাশ কে দেখতে পেলনা।
চাঁদনী তখন ছটপট করতে লাগলো আকাশ কে না দেখতে পেয়ে।
এদিকে আকাশ কে সবাই খোঁজা খুঁজি করতে লাগলো।
আকাশ এর মা আকাশ এর জন্যে খুব ভেঙ্গে পড়লো।চাঁদনী আকাশ এর মায়ের কাছে গিয়ে তার যত্ন নিলো,।চাঁদনী ও খুব কেঁদে ফেললো।
অনেক রাত ,তবুও আকাশ এর কোনো খোঁজ মেলেনা।
চাঁদনী তার মায়ের কাছে আকাশ এর ফোন নাম্বার নিয়ে কল লাগলো,কিন্তু ফোন বন্ধ।
চাঁদনীর মা চাঁদনী কে ঘুমানোর জন্যে নিয়ে এলো,কিন্তু কোনো মতেই তার ঘুম আসেনা,আকাশ এর জন্যে তার মন কাঁদছে,আকাশ কে ও অনেক কথা শুনিয়েছে,আকাশ এর যদি কিছু হই তো কি হবে এই সব তার মাথায় আসতে লাগলো।
চাঁদনী সারারাত ধরে দরজাই অপেক্ষা করতে লাগলো,কিন্তু আকাশ এর কোনো খোঁজ নেই।
সকাল হয়ে গেলো.........চাঁদনির পরিবার বাড়ির জন্যে তৈরি.....চাঁদনী কোনো মতেই বাড়ি যেতে চাইনা,চাঁদনী আকাশ এর মায়ের সঙ্গে দেখা করতে চাইলো,কিন্তু জানতে পরলো যে ওরা রাত্রেই চলে গেছে।
চাঁদনী অবশেষে বাধ্য হলো বাড়ি যেতে,,....…..চাঁদনী আকাশ এর কোনো খোঁজ পেলনা। হঠাৎ তার মনে এলো আকাশ এর ফোন নাম্বার তার কাছে আছে,সে তাকে কল করলো,কিন্তু কল এ পেলনা।
চাঁদনী সেই শপিং মল এ গেলো যেখানে আকাশ এর সঙ্গে দেখা হইছিলো।সেখানে সে আকাশ কে খুব খুঁজলো কিন্তু পেলনা।
চাঁদনী পাগলের মত হইয়ে গেলো,সে দিন রাত প্যাসেজ এ বসে রইলো যদি আকাশ তাকে দেখতে আসে,চাঁদনী নিজেও জানতে পারেনি যে সে আকাশ কে ভালবেসে ফেলেছে।
এদিকে চাঁদনির বিয়ের লোক এলো,চাঁদনী র বাবা একজন পুলিশ,একজন পুলিশ এর সঙ্গে চাঁদনির বিয়ে দেউয়ার তার খুব ইচ্ছে।
চাঁদনী ও যে প্রথম দেখায় আকাশ কে লাইক করে ফেলেছিল,সে আজ বুঝছে।
চাঁদনী আবার শেষ বারের মত আকাশ এর ফোন চল করলো,কল উঠতেই চাঁদনী আকাশ বলে চেচিয়ে উঠলো,আকাশের মা বললো কেদে কেদে বললো আমি ওর মা,আকাশের অ্যাকসিডেন্ট হয়েগেছে তাই সে এক্ষণ  মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে।
চাঁদনীর হাথ থেকে মোবাইল পরে গেলো,সে আর কিছুই বলতে পরলো না।
চাঁদনীর কোনো মতেই জ্ঞান ফিরছেনা।চাঁদনির বাবা চাঁদনীকে হসপিটাল নিয়ে গেলো,চাঁদনী অজ্ঞান অবস্থায় শুধু আকাশের ই নাম নিলো।
চাঁদনীর বাবা মা বুঝতে পারলো চাঁদনী আকাশ নামের এক ছেলেকে ভালোবাসে।
চাঁদনী বাবার একটাই মেয়ে ,তাই তার বাবা নিজেকে দোষ দিতে লাগলো এক সব কিছুই তার জন্যে হয়েছে।।
জোর করে বিয়ে দিতে গিয়ে এসব হলো,সঙ্গে সঙ্গে তার বাবা বিয়ে ক্যান্সেল করলো।
চাঁদনী র পরের কেবিন এই ছিল আকাশ এর কেবিন।দুজনেই একে অপরকে অনুভব করলো।
চাঁদনীর জ্ঞান ফিরলো,চাঁদনী তখন একাই কেউ নেই পাশে,তার মন বলছিল যে আকাশ হইতো তার আশপাশেই আছে।সে উঠে দাড়ালো,চুপি চুপি সে বাইরের পরিবেশ দেখলো,সে দেখলো,বাবা মা তার চোখ বন্ধ করে বসে আছে।এই সুযোগ এ সে আকাশ কে খুঁজতে লাগলো।চাঁদনী পাশের কেবিন এ গেলো,সেখানে গিয়ে সে আকাশ কে দেখতে পেলো।
চাঁদনী দেখলো আকাশ শুধু চাঁদনী চাঁদনী করছে।চাঁদনী কাছে গিয়ে আকাশ এর কপালে একটা চুমু দিল।।।
চাঁদনী পিছন ফিরে দেখলো আকাশ এর মা!!
চাঁদনী সব কিছু তার মা কে বলে ফেললো, আর ইউও বললো যে আমি আকাশ কে কখন ভালোবেসে ফেলেছি নিজেও জানিনা।তবে এটুকু জানি আকাশের কিছু হলে চাঁদনী নিঃস্ব হয়ে যাবে।
চাঁদনীর শব্দ পেয়ে তার বাবা চাঁদনির কেবিন গিয়ে দেখলো চাঁদনী নেই।সে চাঁদনী বলে ডাকতে লাগলো,চাঁদনী বেরিয়ে এলো।
তার বাবা তাকে জড়িয়ে ধরলো, আর বললো মা তুই কেমন আছিস???তুই এখানে কি করে এলি??চাঁদনী বললো বাবা জল তেষ্টা পেয়ে ছিল তাই ......ঠিক আছে মা বলে তার বাবা,সেই রাত্রেই তাকে বাড়ি নিয়ে এলো।
পরদিন সকালে তার বাবা আকাশের সম্পর্কে জানতে চাইলো।
চাঁদনী আর ভয় না করে সব বলে ফেললো।
এরপর তিন জনে মিলে আকাশ এর কাছে গেলো।
আকাশ এর জ্ঞান ফিরেছে,আকাশ চোখ বন্ধ করে চাঁদনির কথা ভাবছিল।আকাশের মা চাঁদনির অসুস্থতার কথা তাকে জানালো।
এটা শুনে আকাশ স্যালাইন খুলতে যাবে চাঁদনী সেখানে গিয়ে হাজির।..........চাঁদনী তার হাত ধরে ফেললো,আকাশ চাঁদনী কে দেখে খুব খুশি হলো,।
চাঁদনীর বাবা ,বিয়ের প্রস্তাব রাখলো,আকাশের বাবা মা দুজনেই সম্মতি দিল বিয়ের।
কিছু দিনের মধ্যে আকাশ সুস্থ হইয়ে পরলো
চাঁদনী তার মনের কথা আকাশ কে জানালো,যে সেই আকাশ কে কত টা ভালোবাসে।.......দুজনের মধ্যে সব পারফেক্ট হইয়ে গেলো।
১ মাস পর তাদের বিয়ে হলো,দুজনে খুব সুখের সংসার করতে লাগলো,কিছু দিন পর চাঁদনী প্রেগনেন্ট হলো।
আকাশ তার খুব যত্ন নিলো,তার খুব খেয়াল রাখলো,তার ডেলিভারি র ডেট হলো.....
আকাশ ও চাঁদনির ছেলে সন্তান হলো যার নাম হলো নীল.......
আকাশ চাঁদনী কে বললো এত দিন তুমি শুধু আকাশের চাঁদনী ছিলে ,কিন্তু আজ তুমি নীল আকাশের চাঁদনী হইয়ে পূর্ণ হলে।
             Edited by:salma yeasmin

গল্পটি পরে আপনাদের কেমন লাগলো অবশ্যই জানাবেন






No comments:

Post a Comment

Featured post

চুল সিল্কি করার সহজ টিপস

চুল সিল্কি এক রুক্ষতা নিয়ে মাথা খারাপ করছেন? তাহলে শুনুন বেশি মাথা ঘামিয়ে লাভ নেই, তাতে চুল সিল্কি হবে না। বরং ট্রাই করুন আজকের দুটি হেয়ার প...