Monday 13 April 2020

হারিয়ে যাওয়ার দেশে

                             হারিয়ে যাওয়ার দেশে


  1.                                     

এমত অবস্থায় আমার কোলে তার মাথা , আমার নয়ণ দুটি অশ্রু গোপন,তার চোখে চোখ রেখে অশ্রুর সমুদ্রে ডুবে আছি।বুকের ভেতর টা ফেটে যাচ্ছে ,,মনে হচ্ছে কেউ হইতো তির মারছে বুকে,অলস সেই হৃদয় টা আজ প্রতি খনে খনে টের পাচ্ছে ভালোবাসআর মানুষটিকে হারানো এর মহূর্ত টা,টের পাচ্ছে আজ তার মর্ম,পলকে পলকে তাকিয়ে দেখি, তার কপালে চুম্মন দিচ্ছি,সে আমকে জানালো তার শেষ ইচ্ছার কথা,ইচ্ছাটি ছিল দুজন মিলে কোথাও ঘুরতে যেতে বাইরে কোথাও যেখানে শুধু ও আর আমি।আজ মোটর বাইকে নই সেই সাইকেল এ,বললো তোমার সাইকেল এর সামনে বসে , আমার ঘাড় এ মাথা রেখে দুজন মিলে সবুজের মাঝে ঘুরবো শেষ থেকে শুরু এর মাঝে।দুজনে বেরিয়ে পড়লমাম বিকেল বেলায়, হটাৎ দেখি মেলা বসেছে সেখানে দেখি কজন ছেলে তার দিকে খারাপ দৃষ্টি তে নজর দিচ্ছে,আমি প্রিয়া র হাত ধরে তৎক্ষণাৎ সেই জায়গা ছেড়ে 🍨 আইসক্রিম র ফুচকা খেতে গেলাম,প্রিয়া ফুচকা দেখে লাফিয়ে উঠলো সে বললো :;অরিন্দম: তুমি আমাকে ফুচকা খাইয়ে দেবে , প্লিজ আমার এই ইচ্ছেটা পূরণ করো না আরিন,আমি কিছু না বলেই তাকে খাইয়ে দিলাম ,কারণ প্রিয়া জানে আমি সবার সামনে প্রিয়ার কাছে থেকে দূরত্ব বজাই রাখি, হঠাৎ আমার এক টি কল আসে আমি প্রিয়া কে দার করিয়ে পাশে কল উঠালাম। হঠাৎ দেখি অচেনা নম্বর , হ্যাল্লো বলতেই বলে উঠল তুমি রিয়ার জন্যে ডিভোর্স পেপার রেডি করেছ?? আমি তখনও রিয়ার দিকে তাকিয়ে আছি, দেখি যে রিয়া আমার জন্য একটা হাত ঘড়ি কিনছে : অবুঝ মনের ভেতর একটাই প্রশ্ন এলো রিয়া কে ছাড়া কি আরীন পূর্ণ?রিয়া ছাড়া কি অরিনের জীবন ধন্য??ময়ূরী তখনও ফোনে:হ্যাল্লো অরিন্দম তুমি শুনছো আমি কি বলছি আর হ্যা আমার জন্য বালির ঘাটের মেলা থেকে বড় একটা টেডি নিও:তখন অরিনের মনে পড়লো যে রিয়া কখনোই তার কাছে ভালোবাসআ ছাড়া আর কিছুই চাইনি
😔💭 মনে পড়লো তার রিয়ার একখানা দামী শাড়ি পছন্দ হয়েছিল যখন দেখেছিল আমার কাছে বেশি টাকা নেই সে বলে উঠলো আমার পছন্দ হইনা অরিন, চলনা বাড়ি যাই শরীর টা ভালো যাইনা।আমি সব বুঝে ভাবলাম যে রিয়ার জন্যে কালকে আমি এই শাড়ি টা গিফট করবো। বাড়ি গেলাম , খেয়ে রাত্রে ঘুমোতে যাবো সেই সময় রিয়ার শরীটা হঠাৎ খারাপ হয়ে উঠলো তাকে ধরে আমি বিছানায় বসালাম,রিয়ার বমি শুরু হলো।পাশে এক ডাক্তার এর কাছে নিয়ে গেলাম ।তার পরে শুনলাম আমাদের নতুন সদস্য আসতে চলেছে ,খুশিতে আমি রিয়া কে জড়িয়ে ধরলাম,রিয়া আমকে চুম্মণ দিল মিষ্টি করে।বাড়ি ফিরে ঘুমিয়ে পরলাম।...................এভাবছি ময়ূরী কল কেটে দিয়েছে কখন বুঝতেই পারিনি।রিয়া পাশে এসে বললো অরিন কি হলো তোমার কি হয়েছে?? দাখো না তোমার জন্যে এই ঘড়ি টা নিলাম,কেমন হোয়েছে ??আমি রিয়াকে জড়িয়ে ধরে কাদতে শুরু করলাম।রিয়া কাপতে কাপতে আমকে চুপ করালো।আমরা দুজনে বাড়ি ফিরলাম।রাত্রে রিয়া আমার পছন্দের আলুর পরোটা করেছিল, রিয়া দেখি হাটতে অসুবিধে হচ্ছে ঠিক হাটতে পারছেনা।আমি কোলে তুলে বসালাম আর খাইয়ে দিলাম , ঔষধ দিলাম।রিয়া শুয়ে পরলো আমি ও শুয়ে পরলাম ....…(অরিন আবার ভাবতে শুরু করলো) ডাক্তার এর কাছে থেকে এসে ঘুমিয়ে পরলাম।দেখতে দেখতে ২মাস পেরিয়ে গেলো। অরিন্দম এর মানসিক আর শারীরিক চাহিদা রিয়া তখন মেটাতে পারেনা।অরিন এর হৃদয় যৌনো মিলন চাইছিল কিন্তু এই অবস্থায় রিয়া তার চাহিদা পূরণ করতে পারার মত ছিলনা।অরিন্দম পরের দিন সকালে অফিসে গেলো সেখানে একটা নতুন এমপ্লয় জইন হয়েছিলো,অরিন এর কেবিন এর পাশেই ছিল তার কেবিন। অফিস থেকে সামার ভোকেশন এ জওয়ার প্ল্যান হলো:কিন্তু রিয়া কে এই অবস্থায় ছেড়ে অরিন এর মন কেমন করলো,তবে রিয়া তাকে যেতে বললো।দুদিন পরে বেরিয়ে পড়লো ৭দিন এর টুর এ।এদিকে রিয়া তার বোনকে নিয়ে বাড়িতে থাকতে লাগল।অরিন এর সঙ্গে প্রথম পরিচয় ময়ূরী র বাস এর মধ্যে।দুজন এ একই শিট পেলো।দুজনের মধ্যে বেশ ভাব হলো।হোটেল এ পৌঁছালো, ময়ূরীর পাশের ঘরেই অরিন ছিল।১ ম রাত ভালই কাটলো সবার।সারাদিন ঘোরাফেরা হলো ময়ূরী আর অরিন কাছা কাছি আসতে লাগলো এই ভাবে ২দিন পর হলো।ময়ূরী কে দেখে অরিন এর শারীরিক চাহিদা বেড়ে উঠলো।দুজন দুজনের প্রতি আস হয়ে উঠলো। রাত্রে যখন সবাই ঘুমিয়ে ময়ূরী অরিন কে নিজের রুম এ ডাকলো।তাদের মধ্যে সেক্সক্স রিলেশন হয়ে উঠলো।এই ভাবে বাকি কটা রাত তারা একসঙ্গে কাটলো।তার পর বাড়ি ফিরলো সবাই।রিয়া অরিন এর জন্য দরজাই অপেক্ষা করছে,অরিন কে দেখে জড়িয়ে ধরলো, আর বললো যে আমার জন্যে কি এনেছো??অরিন ময়ূরী কে নিয়ে এতই ব্যাস্ত ছিল যে রিয়ার জন্যে কিছুই নিয়ে আসেনি।অরিন বললো মিথ্যে করে যে তার জন্যে যেটা এনেছিল সেটা বাস এ চুরি হোয়ী গেছে।রিয়া কিছু মনে করলনা।রিয়া একটা জিনিস লক্ষ্য করলো যে অরিন বেবি কে হাত দিয়ে দেখলনা।এদিকে দেখতে দেখতে ৭মাস পেরিয়ে গেলো।রিয়া একদিন হঠাৎ তার বাবাকে নিয়ে বাজারে গেল কিছু কিনতে।সেখানে সে দেখলো সামনে একটা রেস্টরেন্টে অরিন এর মত একজন ছেলে একটা মেয়ের সঙ্গে বসে আছে।রিয়ার বাবা রিয়া কে বসিয়ে একটা কাজে দোকানে গেল।রিয়ার মন মানলনা,সে রেস্টুরেন্ট এর ভেতরে গেলো,রিয়া দেখে অবাক 😔😔😔😔😔রিয়া দেখল তার ভালোবাসার মানুষটি আজ অন্যের হাতে হাত দিয়ে বসে আছে।রিয়া কাদতে কাদতে সেখান থেকে চলে এলো।বাবার সঙ্গে বাড়ি এলো,অরিন কে এই ব্যাপারে কিছুই জানতে দিলনা।রিয়ার ডেলিভারি র সময় কাছিয়ে গেলো।এদিকে অরিন র ময়ূরী রিয়া কে ডিভোর্স এর প্ল্যান করলো। রিয়ার হঠাৎ ব্যাথা উঠতলাগলো,রিয়া হসপিটাল নিয়ে যাও আ হলো। ডাক্তার বললো বাচ্চা আর রিয়ার মধ্যে আপনি একজন কে বাঁচাতে পারবেন।অরিন তখন হাঁটু পারে বসে গেলো।রিয়াকে হারানোর ভয় তখন অরিন টের পেলো।একদিকে রিয়া অপর দিকে ময়ূরী।অরিন রিয়ার ভালোবাসআর কথা ভুলতে পারেনা।রিয়াকে হারানোর ভোয় তাকে ভেঙে ফেললো।এমত অবস্থায় ময়ূরীর কল,অরিন কেটে দিল। অপারেশন থিয়েটের এ র ভেতর গেলো অরিন রিয়া কে দেখতে।রিয়া কে দেখে সে হাত জোড় করলো র কাদল।রিয়া বললো অরিন্দম.....অরিন্দম একেবারে চুপ কারণ রিয়া অরিন্দম নই অরিন বলে।রিয়া বললো তুমি আর আমার নেই তবে এটুকুই বলবো যে আমার মত তোমাকে কেউ আর ভালোবাসতে পারবেনা।তোমার ভাগ্য খারাপ যে তুমি আমকে হারাবে।ভাগ্য তোমার সাথ কেনো দাইনা অরিন্দম??অরিন্দম শুধুই কেদে ফেললো।রিয়া বললো অরিন্দম.... যে, যাকে ঠিক যত খানি ভালোবাস এ সে তাকে ঠিক তত খানিই ঘির্ণ্যা করে।অরিন্দম তুমি ময়ূরী কে নিয়ে সুখে থেকো....আরিন্দ চেয়ে রয়লো অবাক চোখে যে রিয়া এসব কিছু আগেই জানত??? রিয়া বললো অরিন আমার বাচ্চার কিছু হতে দিওনা ,এটা আমাদের সরি আমার ভালোবাসার নিশানি।তুমি আমকে না বাঁচিয়ে বাচ্চা কে বাঁচাও।কারণ তোমার জীবনে আমার কোনো অস্তিত্ব নেই। আমার বেবি,, তোমাকে দেওয়া আমার সেরা উপহার।রিয়া অজ্ঞান গেলো।...........রিয়ার জ্ঞান ফিরলো দেখলো সে একজন অন্য রুমে আছে।রিয়া নার্স কে বললো যে তার বেবি কোথায়?? নার্স বললো যে শি ইস নো মোর।সে কান্নায় ফেটে পরলো। অরিন রিয়ার জন্যে খাবার নিয়ে এলো।দেখলো রিয়া শুয়ে কাঁদছে।অরিন বললো রিয়া খেয় এ নাও।রিয়া কোনো উত্তর না দিয়ে চুপ থাকলো। এইভাবে কদিন কেটে গেলো রিয়া কে বাড়ি নিয়ে যাওয়া হলো।ময়ূরী অরিন কে বার বার কল দেই কিন্তু অরিন ব্যাস্ত আছি বলে কেটে দায়।....….....…..... অরিন রিয়ার খুব যত্ন নিলো।অরিন এর ভাবা শেষ হলো............অরিন ঠান নিলো r রিয়া ছাড়া কেউ নই রিয়া ছাড়া আমি শূন্য রিয়া কে আমি মানিয়ে নতুন জীবন শুরু করবো কিছুদিন পরে ফ্যামিলি প্ল্যান করবো আর রিয়ার পাশেই থাকবো সকাল হলেই রিয়াকে মানিয়ে নেবো......…..,সকাল হলো দেখে যে রিয়া তাকে জড়িয়ে ধরে শুয়ে আছে।অরিন খুব খুশি ভাবলো রিয়া হইতো মাফ করে দিয়েছে,কারণ জানত রিয়া তাকে ছাড়া কিছুই ভাবতে পারেনা।রিয়া কে জড়িয়ে বুকের মাঝে নিয়ে দেখলো রিয়া কেমন জানি হোয়ে গেছে।রিয়া। রিয়া রিয়া বলে ডাকতে লাগলো দেখলো রিয়ার হাতে একটা লেটার।।।।।তাতে লেখা আছে কাল তোমার উকিলের কল এসছিল, কাল ডেকেছে তোমাকে আর আমকে আমাদের ডিভোর্স এর জন্যে।হইতো আমার যাওয়া আর হবেনা ......কারণ আমি আমার নাম এর থেকে তোমার নাম জড়ানো কোনো দিনও আলাদা করতে পারবোনা।।। হ্যাঁ সেটা সম্ভব তখনই হবে যখন আমি এই পৃথবীতে আর থাকবনা।।।।।।খুব ভালোবাসি তোমাকে।।।।।।।।। ময়ূরী কে নিয়ে হ্যাপি থেকো❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️










….......... ইতি,
রিয়া

  আমি চললাম....................... হারিয়ে যাওয়ার দেশে



Edited by:

Salma Yeasmin




আপনাদের কেমন লাগলো অব্বশ্যই কমেন্টস করে জানাবেন






No comments:

Post a Comment

Featured post

চুল সিল্কি করার সহজ টিপস

চুল সিল্কি এক রুক্ষতা নিয়ে মাথা খারাপ করছেন? তাহলে শুনুন বেশি মাথা ঘামিয়ে লাভ নেই, তাতে চুল সিল্কি হবে না। বরং ট্রাই করুন আজকের দুটি হেয়ার প...