Wednesday 3 June 2020

চুল সিল্কি করার সহজ টিপস



চুল সিল্কি







এক রুক্ষতা নিয়ে মাথা খারাপ করছেন?

তাহলে শুনুন বেশি মাথা ঘামিয়ে লাভ নেই, তাতে চুল সিল্কি হবে না। বরং ট্রাই করুন আজকের দুটি হেয়ার প্যাক আর কিছু টিপস। দেখবেন এক সপ্তাহে চুল রেশমের মত নরম ও উজল হয়ে উঠেছে। তাহলে পড়ে নিন আজকের লেখা।

পলিউসান, রোদের তেজ, ধুলোবালির জন্য আজকাল প্রায় রোজ শ্যাম্পু না করে বাইরে বের হওয়া যায় না। রোজ রোজ শ্যাম্পু করার ফলে চুলে থাকা প্রাকৃতিক তেল নষ্ট হতে থাকে। যা থেকে চুল হয়ে ওঠে রুক্ষ ও প্রাণহীন। তাই নিয়মিত কয়েকটা বিষয় খেয়াল রাখুন।




চুলে তেল মালিশ








শ্যাম্পু না করে যখন থাকতে পারেন না তখন প্রায় সপ্তাহে ৩ থেকে ৪ বার নারকেল তেল দিয়ে ভালো করে চুল মালিশ করুন। স্নানের ১ ঘণ্টা আগে চুলে তেল লাগিয়ে নিন তারপর শ্যাম্পু করে নিন। আর যদি ঠাণ্ডা লাগার ধাত না থাকে, তাহলে রাতে চুলে তেল লাগিয়ে শুয়ে পরুন। সকালে উঠে শ্যাম্পু করে নিন।চুলের পুষ্টির জন্য খুবই উপকারি এটি।

রোজ রোজ শ্যাম্পু না করে মাঝে মাঝে ড্রাই শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। এটি করার জন্য চুলে জল ঢালার দরকার নেই। যখন খুশি এটা করা যায়। চুল সিল্কিও থাকে আর কোন রকম ক্ষতিও নেই এতে। ভাবছেন কি এই ড্রাই শ্যাম্পু? কোথায় পাবেন? দোকানে কিনতে পাওয়া যায়। আজকাল অনলাইনে পেয়ে যাবেন। তবে বাড়িতেও বানিয়ে নিতে পারেন খুব সহজেই।


এই হেয়ার প্যাকটি সপ্তাহে দুদিন করে ব্যবহার করবেন। এক ঘণ্টা চুলে লাগিয়ে রেখে শ্যাম্পু করে নিতে পারেন। ভালো ফল পাওয়ার জন্য একমাস এটি লাগিয়ে যেতে পারেন।

উপকরন

পাকা কলা একটা, মধু ২ চা চামচ, হাফ বাটি টকদই।

পদ্ধতি

সাধারণ চুলের পরিমানে একটি কলাতে প্যাক বানানো যায়। যদি আপনার চুল খুবই লম্বা হয় তাহলে চুলের মাপ অনুযায়ী কলা যোগ করতে পারেন। প্রথমে কলার পেস্ট বানান। এবার সাথে মধু ও দই ভালো করে মিশিয়ে নিন। তিনটি উপকরন মেশানো হয়ে গেলে ১৫ মিনিট পর চুলে হেয়ার প্যাকটি লাগাতে শুরু করুন। এই হেয়ার প্যাকটি সপ্তাহে দুদিন করে ব্যবহার করবেন। এক ঘণ্টা চুলে লাগিয়ে রেখে শ্যাম্পু করে নিতে পারেন।


এই হেয়ার প্যাকটি সপ্তাহে তিনদিন করে ব্যবহার করবেন। এক ঘণ্টা চুলে লাগিয়ে রেখে শ্যাম্পু করে নিতে পারেন। ভালো ফল পাওয়ার জন্য একমাস এটি লাগিয়ে যেতে পারেন।
২.

উপকরন

কাঁচা ডিম দুটো, ২ চা চামচ, একটা পাতিলেবুর রস, নারকেল তেল ৩ চা চামচ।

পদ্ধতি

প্রথমে ডিম ফাটিয়ে ডিমের হলুদ অংশ বাদ দিয়ে দিন। এবার একটি বাটিতে ডিমের সাদা অংশ নিন। একে একে মধু, লেবুর রস, নারকেল তেল মেশান। এবার ভালো করে সারা চুলে লাগিয়ে ১ ঘণ্টা অপেক্ষা করুন। হাতে কাজ না থাকলে আমাদের হোম পেজে অন্যান্য লেখা পড়তে পারেন। চুল শুকিয়ে এলে ভালো করে শ্যাম্পু করে নিন। প্যাকটিতে ডিম থাকায় মাথা দিয়ে ডিমের বাজে গন্ধ আসবে। তাই যতক্ষণ না ডিমের গন্ধ যাচ্ছে ততক্ষণ শ্যাম্পু করে নিন। এই হেয়ার প্যাকটি সপ্তাহে তিনদিন করে ব্যবহার করবেন। ভালো ফল পাওয়ার জন্য একমাস এটি লাগিয়ে যেতে পারেন।

আজ সহজ দুটি টিপস আর হেয়ার প্যাক আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। নিয়মিত এইগুলি ট্রাই করলে চুলের জেল্লা বৃদ্ধি হওয়ার সাথে সাথে চুলের পুষ্টিও দ্বিগুণ হবে। তবে এসবের পাশাপাশি ডায়েটের ক্ষেত্রেও খেয়াল রাখবেন। বেশি তেলে  ভাজা ভুজি খাবেন না। শরীরের সাথে সাথে চুলের জন্য ভালো না।



Edited by:Salma Yeasmin

My YouTube channel:
https://www.youtube.com/channel/UCeDZbtUCvKtBR0wkmDq-ZVg

Others channel:https://www.youtube.com/channel/UC3u_8aE-4HG01EEaMzBk9Aw

Monday 20 April 2020

নীল আকাশের চাঁদনী

নীল আকাশের চাঁদনী



আকাশ তার বাবাকে স্টেশন নিতে যাবে, প্লাটফরম এ বসে রয়েছে বাবার অপেক্ষাই। দূর থেকে দেখলো ট্রেন ঢুকছে,সে দাঁড়িয়ে পড়লো, 🚆 ট্রেন ঢুকে পড়েছে,ইতি মধ্যে তার সঙ্গে এক ভদ্র মহিলার ধাক্কা লেগে গেলো, মেয়েটির হাত থেকে তার ব্যাগ, মোবাইল পরে গেলো।আকাশ মেয়েটার দিকে তাকিয়ে , আর চোখ ফিরাতে পারলনা.... লম্বা লম্বা সোজা সোজা চুল,চোখে কাজল,ঠোঁটে লিপিস্টিক,একটা সালওয়ার হলুদ রং এর।আকাশ শুধু তার দিকেই চেয়ে রইল।এদিকে আকাশ এর বাবা আকাশ এ খুঁজে পাইনা।মেয়েটি রেগে তাকালো আকাশ এর দিকে,অনেক কথা শোনাতে লাগলো। হঠাৎ চাঁদনী বলে ডাক আসায় সে সাড়া দিল। চাঁদনী তার বাবা কে দেখে সেখান থেকে চলে এলো,আকাশ কে ধাক্কা দিয়ে।
আকাশ এর বাবা তৎক্ষণাৎ আকাশ কে খুঁজে পেলো।দুজনে বাড়ি ফিরলো।আকাশ দিন রাত চাঁদনী এর কথা ভাবতে লাগলো।
তার পর হটাৎ একদিন এক শপিং মল এ,চাঁদনী এসছিল,আকাশ ও তার বন্ধুদের সঙ্গেির পিছন করলো,এই ভাবে আকাশ তার বাড়ি পর্যন্ত গেলো।
পরের দিন থেকে আকাশ তার বাড়ির সামনে গাড়িতে বসে থাকে ,চাঁদনী যেই বেরোলো,আকাশ তার পিছন পিছন গেলো।
চাঁদনী অটো থেকে নেমে দেখলো সেই স্টেশন এর ছেলেটি তার পিছন করছে।
এই ভাবে আকাশ পিছন পিছন যাই,চাঁদনী বড্ড রেগে গেলো।চাঁদনী তার সামনে গিয়ে দাঁড়ালো, আর বলতে লাগলো,কি হচ্ছে এটা?তুমি আমার পিছন কেনো করছো??আকাশ বলল হায়!!আমি আকাশ,আমি জানি তুমি চাঁদনী।
চাঁদনী বললো তো কি হয়েছে,কি চাও তুমি?আকাশ চুপ রইল।চাঁদনী চলে গেলো।
এই ভাবে কিছুদিন পেরিয়ে গেলো।
আকাশ প্রতি দিনই,তার বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে লাগলো।চাঁদনী জানালা দিয়ে দেখতো, আর সঙ্গে সঙ্গে জানালা বন্ধ করত।
একদিন রাস্তায় চাঁদনী বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিল, হঠাৎ রাস্তাই অটো খারাপ হয়ে গেলো,সে হাটতে শুরু করলো,ঠিক তখনই কিছু ছেলে তার পিছন করলো। সে দৌড়তে লাগলো,ছেলে গুলো তার পিছু দৌড়াচ্ছে,সেই মোমেন্ট এ আকাশ বাইকে ওই পথ দিয়ে আসছিল,সে চাঁদনী কে দেখে গাড়ি দাড় করলো।চাঁদনী আকাশ কে দেখে থেমে গেলো।আকাশ কে সামনে দেখে ছেলে গুলো সেখান থেকে পালিয়ে গেলো।


আকাশ চাঁদনী কে বাইকে চাপতে বললো,চাঁদনী তার দিকে রেগে তাকালো, আর বললো আমি কখনোই তোমার বাইকে চাপবনা।আকাশ সেখানে ততক্ষণ দাড়িয়ে থাকলো যতক্ষণ না চাঁদনী অটো পেলো।
চাঁদনী কে অটোই চাপিয়ে আকাশ নিজেও গেলো।
পরদিন সকালে চাঁদনী ঘুম থেকে উঠে দেখল প্যাসেজ এ একটি চিরকুট, আর কিছু গোলাপের কুড়ি।লিখা আছে ,চাঁদনী আমি তোমাকে প্রথম দেখেই পাগল হয়ে গেছি,যেদিন থেকে তোমাকে দেখেছি সব ভুলতে শুরু করেছি।চাঁদনী , প্লিজ আমার ভালোবাসা কবুল করো কেমন। আর রাস্তায় একা চলা ফেরা করোনা ,তোমার কিছু হলে আমি বেঁচে থাকতে পারবনা।চাঁদনী নিচে তাকিয়ে দেখলো আকাশ সেখানে দাঁড়িয়ে রয়েছে। চাঁদনী চিরকুট টা তার সামনে ছিড়ে ফেললো।আকাশ তার পর চলে গেলো হাসতে হাসতে।
হঠাৎ আকাশ এর মা আকাশ কে বললো,যে কাল আমরা একটা বিয়েতে যাবো সপরিবার এ।আকাশ কোনো মতেই রাজি নয়,বিয়েতে গেল সে চাঁদনী কে দেখতে পাবে না।
কোনো ভাবে আকাশ এর মা তাকে যাওযার জন্যে রাজি করলো।
পরের দিন তারা বিয়েতে গেলো,আকাশ এর কোনো কিছুই ভালো লাগেনা।আকাশের মা বিয়ে বাড়িতে আকাশ এর জন্যে মেয়ে খুঁজতে লাগলো,আর আকাশ কে বললো কোনো মেয়ে ভালো লাগলে বলিস আকাশ,এই ভাবে হাসা হাসি করতে লাগলো।আকাশ ভাবলো তার বউ একমাত্র চাঁদনী ই হবে অন্য কেউ না।
আকাশ বসে আছে ,এমন সময় চেচামেচি এর আওয়াজ শুনে সে সেখানে গেলো,গিয়ে দেখলো, চাঁদনী সেখানে দাড়িয়ে রয়েছে।সে চাঁদনী কে বিয়েতে দেখে অবাক রয়ল,আকাশ দেখলো চাঁদনী র চোখে জল,চাঁদনী তার বাবাকে জড়িয়ে ধরে আছে।চাঁদনির বাবা চাঁদনী ভেতরে নিয়ে গেলো।আকাশ লুকিয়ে লুকিয়ে সব শুনলো,চাঁদনির বাবা চাঁদনির জন্য পাত্র ঠিক করেছে,কিন্তু চাঁদনী বিয়ের জন্যে রাজি নেই.......…...আকাশ তার বাবা কে আসতে দেখে লুকিয়ে পড়লো,চাঁদনির বাবা যাওযার সঙ্গে সঙ্গে,সে চাঁদনির কাছে গেলো,আকাশ কে দেখে চাঁদনী,অবাক চোখে তাকিয়ে রইলো।চাঁদনী বলে উঠলো তুমি??এখানে কি করছ এখানেও পিছনে পিছনে চলে এসছো? এখান থেকে চলে যাও।


আকাশ চাঁদনী কে অনেক বোঝানোর চেষ্টা করলো,চাঁদনী কোনো মতেই বুঝতে চাইলো না।।

আকাশ রেগে সেখান থেকে নিচে চলে এলো।আকাশ এর মা আকাশ এর জন্যে একটা মেয়ে পছন্দ করেছে,তার ই এক রেলাটিভ,আকাশের মা পরিচয় করিয়ে দিল একে অপরের সঙ্গে,আকাশ মেয়েটির সঙ্গে কথা বলছিল,চাঁদনী নিচে এসে দেখলো আকাশ কে অন্য মেয়ের সঙ্গে কথা বলতে।
চাঁদনী কে দেখে আকাশ ওর কাছে এলো,চাঁদনী তবুও আকাশ কে ইগনোর করলো।
চাঁদনী বাইরে ফাঁকা জাইগাই চলে গেলো,একটা নদীর ধরে গিয়ে একা বসলো,আকাশ চাঁদনির পাশে গিয়ে বসল,চাঁদনী শুধু চুপ করে বসেই আছে আর নদীর দিকে তাকিয়ে রয়েছে।


আকাশ চাঁদনির হতে হাত রেখে বললো প্লিজ ওই ভাবে কান্নাকাটি করোনা,তোমার চোখে জল আমাই ভালো লাগেনা।খুব ভালোবাসি তোমায়।

চাঁদনী তখন আকাশ কে যত পরলো কথা শোনাল..
.......প্লিজ আমার লাইফ থেকে দূর হও।চাইনা আমি তোমাকে চাইনা তোমার ভালোবাসা,দিন রাত আমার পিছনে কেনো পরে থাকো।কোনো প্রতিদিন আমার বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে আমাকে বিরক্ত করো???আমার চোখের সামনে থেকে দূর হও এক্ষনি, আর যেনো কখনোই তোমাকে আমি আমার সামনে না দেখি....আর কখনোই আমার বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে রইবে না,। আকাশ বললো চাঁদনী এই ভাবে বলো না আমি মরেই যাবো।চাঁদনী বললো তুমি মরলে আর বাঁচলে আমার কোনো কিছুই যাই আসে না। লিভ মি আলোন......





আকাশ এটা শোনা র পরে চাঁদনী কে শুধু এটাই বললো, শোনো এত রাত্রে একা এখানে থেকোনা ,তুমি যতক্ষণ না বাড়ি যাচ্ছ আমিও এখানেই থাকবো।
চাঁদনী উফফফ......বলে সেখান থেকে সোজা বাড়ি গেলো।
অনেক্ষন পর, চাঁদনী আকাশ কে খুঁজছে কিন্তু আকাশ কে খুঁজে পাচ্ছে না এদিক ওদিক তাকাচ্ছে,কিন্তু খুঁজে পাইনা।
চাঁদনী আকাশ এর মা কেউ আকাশ কে খুঁজ তে দেখলো।
চাঁদনীর তখন টেনশন হতে লাগলো আকাশ এর জন্যে।
চাঁদনী আর থাকতে না পেরে বাইরে দিকে দেখলো,উপরে দেখলো,রাস্তা দেখলো কিন্তু আকাশ কে দেখতে পেলনা।
চাঁদনী তখন ছটপট করতে লাগলো আকাশ কে না দেখতে পেয়ে।
এদিকে আকাশ কে সবাই খোঁজা খুঁজি করতে লাগলো।
আকাশ এর মা আকাশ এর জন্যে খুব ভেঙ্গে পড়লো।চাঁদনী আকাশ এর মায়ের কাছে গিয়ে তার যত্ন নিলো,।চাঁদনী ও খুব কেঁদে ফেললো।
অনেক রাত ,তবুও আকাশ এর কোনো খোঁজ মেলেনা।
চাঁদনী তার মায়ের কাছে আকাশ এর ফোন নাম্বার নিয়ে কল লাগলো,কিন্তু ফোন বন্ধ।
চাঁদনীর মা চাঁদনী কে ঘুমানোর জন্যে নিয়ে এলো,কিন্তু কোনো মতেই তার ঘুম আসেনা,আকাশ এর জন্যে তার মন কাঁদছে,আকাশ কে ও অনেক কথা শুনিয়েছে,আকাশ এর যদি কিছু হই তো কি হবে এই সব তার মাথায় আসতে লাগলো।
চাঁদনী সারারাত ধরে দরজাই অপেক্ষা করতে লাগলো,কিন্তু আকাশ এর কোনো খোঁজ নেই।
সকাল হয়ে গেলো.........চাঁদনির পরিবার বাড়ির জন্যে তৈরি.....চাঁদনী কোনো মতেই বাড়ি যেতে চাইনা,চাঁদনী আকাশ এর মায়ের সঙ্গে দেখা করতে চাইলো,কিন্তু জানতে পরলো যে ওরা রাত্রেই চলে গেছে।
চাঁদনী অবশেষে বাধ্য হলো বাড়ি যেতে,,....…..চাঁদনী আকাশ এর কোনো খোঁজ পেলনা। হঠাৎ তার মনে এলো আকাশ এর ফোন নাম্বার তার কাছে আছে,সে তাকে কল করলো,কিন্তু কল এ পেলনা।
চাঁদনী সেই শপিং মল এ গেলো যেখানে আকাশ এর সঙ্গে দেখা হইছিলো।সেখানে সে আকাশ কে খুব খুঁজলো কিন্তু পেলনা।
চাঁদনী পাগলের মত হইয়ে গেলো,সে দিন রাত প্যাসেজ এ বসে রইলো যদি আকাশ তাকে দেখতে আসে,চাঁদনী নিজেও জানতে পারেনি যে সে আকাশ কে ভালবেসে ফেলেছে।
এদিকে চাঁদনির বিয়ের লোক এলো,চাঁদনী র বাবা একজন পুলিশ,একজন পুলিশ এর সঙ্গে চাঁদনির বিয়ে দেউয়ার তার খুব ইচ্ছে।
চাঁদনী ও যে প্রথম দেখায় আকাশ কে লাইক করে ফেলেছিল,সে আজ বুঝছে।
চাঁদনী আবার শেষ বারের মত আকাশ এর ফোন চল করলো,কল উঠতেই চাঁদনী আকাশ বলে চেচিয়ে উঠলো,আকাশের মা বললো কেদে কেদে বললো আমি ওর মা,আকাশের অ্যাকসিডেন্ট হয়েগেছে তাই সে এক্ষণ  মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে।
চাঁদনীর হাথ থেকে মোবাইল পরে গেলো,সে আর কিছুই বলতে পরলো না।
চাঁদনীর কোনো মতেই জ্ঞান ফিরছেনা।চাঁদনির বাবা চাঁদনীকে হসপিটাল নিয়ে গেলো,চাঁদনী অজ্ঞান অবস্থায় শুধু আকাশের ই নাম নিলো।
চাঁদনীর বাবা মা বুঝতে পারলো চাঁদনী আকাশ নামের এক ছেলেকে ভালোবাসে।
চাঁদনী বাবার একটাই মেয়ে ,তাই তার বাবা নিজেকে দোষ দিতে লাগলো এক সব কিছুই তার জন্যে হয়েছে।।
জোর করে বিয়ে দিতে গিয়ে এসব হলো,সঙ্গে সঙ্গে তার বাবা বিয়ে ক্যান্সেল করলো।
চাঁদনী র পরের কেবিন এই ছিল আকাশ এর কেবিন।দুজনেই একে অপরকে অনুভব করলো।
চাঁদনীর জ্ঞান ফিরলো,চাঁদনী তখন একাই কেউ নেই পাশে,তার মন বলছিল যে আকাশ হইতো তার আশপাশেই আছে।সে উঠে দাড়ালো,চুপি চুপি সে বাইরের পরিবেশ দেখলো,সে দেখলো,বাবা মা তার চোখ বন্ধ করে বসে আছে।এই সুযোগ এ সে আকাশ কে খুঁজতে লাগলো।চাঁদনী পাশের কেবিন এ গেলো,সেখানে গিয়ে সে আকাশ কে দেখতে পেলো।
চাঁদনী দেখলো আকাশ শুধু চাঁদনী চাঁদনী করছে।চাঁদনী কাছে গিয়ে আকাশ এর কপালে একটা চুমু দিল।।।
চাঁদনী পিছন ফিরে দেখলো আকাশ এর মা!!
চাঁদনী সব কিছু তার মা কে বলে ফেললো, আর ইউও বললো যে আমি আকাশ কে কখন ভালোবেসে ফেলেছি নিজেও জানিনা।তবে এটুকু জানি আকাশের কিছু হলে চাঁদনী নিঃস্ব হয়ে যাবে।
চাঁদনীর শব্দ পেয়ে তার বাবা চাঁদনির কেবিন গিয়ে দেখলো চাঁদনী নেই।সে চাঁদনী বলে ডাকতে লাগলো,চাঁদনী বেরিয়ে এলো।
তার বাবা তাকে জড়িয়ে ধরলো, আর বললো মা তুই কেমন আছিস???তুই এখানে কি করে এলি??চাঁদনী বললো বাবা জল তেষ্টা পেয়ে ছিল তাই ......ঠিক আছে মা বলে তার বাবা,সেই রাত্রেই তাকে বাড়ি নিয়ে এলো।
পরদিন সকালে তার বাবা আকাশের সম্পর্কে জানতে চাইলো।
চাঁদনী আর ভয় না করে সব বলে ফেললো।
এরপর তিন জনে মিলে আকাশ এর কাছে গেলো।
আকাশ এর জ্ঞান ফিরেছে,আকাশ চোখ বন্ধ করে চাঁদনির কথা ভাবছিল।আকাশের মা চাঁদনির অসুস্থতার কথা তাকে জানালো।
এটা শুনে আকাশ স্যালাইন খুলতে যাবে চাঁদনী সেখানে গিয়ে হাজির।..........চাঁদনী তার হাত ধরে ফেললো,আকাশ চাঁদনী কে দেখে খুব খুশি হলো,।
চাঁদনীর বাবা ,বিয়ের প্রস্তাব রাখলো,আকাশের বাবা মা দুজনেই সম্মতি দিল বিয়ের।
কিছু দিনের মধ্যে আকাশ সুস্থ হইয়ে পরলো
চাঁদনী তার মনের কথা আকাশ কে জানালো,যে সেই আকাশ কে কত টা ভালোবাসে।.......দুজনের মধ্যে সব পারফেক্ট হইয়ে গেলো।
১ মাস পর তাদের বিয়ে হলো,দুজনে খুব সুখের সংসার করতে লাগলো,কিছু দিন পর চাঁদনী প্রেগনেন্ট হলো।
আকাশ তার খুব যত্ন নিলো,তার খুব খেয়াল রাখলো,তার ডেলিভারি র ডেট হলো.....
আকাশ ও চাঁদনির ছেলে সন্তান হলো যার নাম হলো নীল.......
আকাশ চাঁদনী কে বললো এত দিন তুমি শুধু আকাশের চাঁদনী ছিলে ,কিন্তু আজ তুমি নীল আকাশের চাঁদনী হইয়ে পূর্ণ হলে।
             Edited by:salma yeasmin

গল্পটি পরে আপনাদের কেমন লাগলো অবশ্যই জানাবেন






Saturday 18 April 2020

Motivation


সময় থাকতে সাবধান করা তোমার কর্তব্য।
পরবর্তীতে এর সম্মুখীন এ দাঁড়ানো তার দায়িত্ব।।

Motivation speech




Smart hou tobe
 atotau over smart hoyena,
je border proti lojja,somman
sroddha,kora vule jau।।


স্মার্ট হও তবে
 এতটাও ওভার স্মার্ট হওনা যে,
 বড় দের প্রতি লজ্জা, সম্মান, শ্রদ্ধা,করা ভুলে যাও।।

Friday 17 April 2020

Hindi sairy(Motivation)

           

    Sairy


Asal mein bure to wo log banjate hain jo sach ko muh per bolna pasand karte hain.


                            Edited by: Salma





 https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=878355929244532&id=685722435174550

Thursday 16 April 2020

তোমার বদলে যাওয়া(Sad story bangla)

তোমার বদলে যাওয়া 





মোহিত তখন কফি ক্যাফে বসে ফ্রেন্ডস দের সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছে ,এমন সময় ফোনের ঘন্টি বেজে উঠলো।দেখলো যে মেসেজ এসছে,খুলে দেখলো তো, মোহনার মেসেজ। মেসেজ এ লিখা ছিল যে , কাল কে আমাকে দেখতে বিয়ের লোক আসছে।তুমি আমার রিপ্লাই টাও দিচ্ছনা কেনো??এতটা ইগনোর করছো কেনো?? চলো বাড়ি থেকে পালিয়ে যাই , আমার হাতে আজকের দিন টাই আছে প্লিজ অত রাগ ভালনা মোহিত। আমার কল এর উত্তর দাও প্লিজ এর পর আর বাড়ি থেকে বেরোতে পারবোনা।মোহিত শুধু ম্যাসেজ সিন করলো জবাব দিলনা ,ইগনোর করলো।মোহনা বললো,মোহিত? অন্য কে বিয়ে করলে তুমি হ্যাপী তো??মোহিত তবুও ম্যাসেজ এর কোনো রিপ্লাই দিল না, তারপর তখনই মোহনা আবার কল করল।মোহিত কল টাকে বার বার কেটে দিচ্ছে আর  ফ্রেন্ডস দের সঙ্গে কথা বলছে হাসা হাসি করছি। হঠাৎ ই সুইমিং পুলের দিকে চোখ গেল মহিতের ,দেখলো মোহনা সেখানে দাড়িয়ে থেকে তার দিকে তাকিয়ে রয়েছে ,মোহিত যেই তাকিয়েছি মোহনা মোবাইল টা দেখতে লাগলো আর সেখান থেকে কাঁদতে কাঁদতে চলে গেলো।


মোহিত সেখানেই বসে রইলো আর গেল না।পরদিন সকাল বেলাই ঘুম থেকে উঠে মোহিত মোহনার ম্যাসেজ গুলো পড়তে লাগলো।..........হটাৎ মনে পড়লো আজ বিয়ের লোক আসবে। মোহনার জন্যে তার খুব মনটা খারাপ করছিল। আর থাকতে না পেরে মোহনা কে ম্যাসেজ দিল । ..........................মেসেজ করলো ,কি করছো মোহনা ??আমি তোমার সঙ্গে দেখা করতে চাই এখন।কোনো রিপ্লাই দিলনা সে,কিন্তু ম্যাসেজ সিন এলো।..…......…......আজ মোহনা কে দেখতে আসবে মনটা খুব ছোট পট করছে।কোনো কিছু তেই শান্তি পাইনা।


ওদিকে মোহনা তৈরি হচ্ছে বিয়ের লোক আসছে তাই,মোহিত এর ম্যাসেজ পরে সে কান্নাই ফেটে পরলো।রিপ্লাই দিতে গিয়েও সে গেলনা।মোহনার দিদি মোহনা কে নিতে এসছিল ,নিচে লোকজন এসছে তাই।এদিকে বর পক্ষের মোহনাকে খুব পছন্দ, আর মোহনার বাড়ি থেকেও বর পক্ষের ফ্যামিলি ,ছেলে সব কে খুব পছন্দ।তাই দুই পক্ষ মিলে বিয়ের দিন পাকা করে ফেললো।মোহনা কাঁদতে কাঁদতে প্যাসেজ এ গিয়ে দাঁড়ালো,তার ওই ভাবে ছুটে আসা দেখে ছেলেটার সন্দেহ হলো,তাই তার পিছন সেই ছুটে এলো,......মোহনাকে জিজ্ঞাসা করলো তার লাইফ এ কেউ আছে কিনা??আর সে কোনো কাদছে   সে জিজ্ঞাসা করলো।মোহনা বললো পরিবার কে ছেড়ে যাব বিয়ে করে তাই ।কখনও পরিবার কে ছেড়ে থাকিনি তো তাই মনটা খারাপ করছে।ছেলেটা বলে উঠলো মোহনা আমি তোমাকে খুব হ্যাপী রাখবো।এইসব কথা শুনে মোহনা আরও কাঁদতে লাগলো,আর ভাবলো আজ যদি মোহিত এর জাইগায় থাকতো আর আমাকে বলত এসব কথা ,কত ভালো লাগতো।
মোহনা মোহিত কে খুব ভালোবাসতো,মোহিত জন্যে সে সব কিছু ত্যাগ করতে রাজি ছিল।কিন্তু মোহিত সময় থাকতে মোহনার মূল্য দেইনি।

এদিকে মোহিত মোহনার অপেক্ষায় বসে থাকলো,কিন্তু মোহনা এলোনা।মোহিত দিনের পর দিন মোহনার অপেক্ষাই বসে থাকে মোহনা আজ কল করবে,আজ মেসেজ করবে।মোহিত জানত মোহনা তাকে ছাড়া অন্যকে কখনোই বিয়ে করতে পারবেনা।যতই ঝামেলা হক না কেনো।


হঠাৎ মোহিত তার পুরনো কথা গুলোকে মনে করলো.…..কেনো তাদের মধ্যে ঝামেলা হোয়েছিলো।আসলে একদিন মোহনার ব্যাগ এর ভেতর কে লাভ লেটার লিখে পুরে দিয়েছিল।মোহনা এবাপারে কিছুই জানত না, হঠাৎ মোহিত মোহনার ব্যাগ থেকে মোবাইল বের করতে গিয়ে লেটার টা হাতে পেলো।


লেটার টা এমন ভাবে ছিল,যেনো মোহনা আর মোহিত কে একে অপরের কাছে থেকে আলাদা করা যাই।ঠিক তাই হলো মোহিত মোহনার কোনো কথা শুনলনা মোহনার সঙ্গে অনেক ঝামেলা করলো,এমনটি তাকে চাপর মারলো।মোহনা তবুও মোহিত কে বার বার বোঝানোর ট্রাই করেছে।এমনকি দোষ না করেও মাফ চেয়েছে।


হটাৎ পর দিন সকালে মোহিত মোহনার বাড়ি যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলো।বেরোবে ঠিক সেই সময় একটা ফ্রেন্ড এর কল এলো, আর মোহনার ব্যাগ এ কে লেটার পুরে ছিল তার সম্মন্ধে মোহিত কে জানালো।মোহিত নিজেকে কোনো মতই সামলাতে পারলনা।পুনরায় সে বাড়ি তে এলো,আর ভাবলো কোন লজ্জাই সে মোহনার কাছে যাবে,কিভাবে তাকে তার দিকে তাকাবে।....….....



মোহিত কোনো মতই নিজেকে মাফ করতে পারলনা,

সে পুনরায় মোহনাকে কল লাগলো ,বিয়ের ১মাস ধরে মোহিত মোহনাকে কল এ পাইনি।দেখলো কল রিং করছে মোহিত এর মন খুব খুশি হলো।


মোহনা কল ধরে হ্যাল্লো বললো:....…….........মোহিত বললো মোহনা।মোহনা চুপ রইলো,মোহিত মোহনাকে বললো মোহনা আমি তোমার সঙ্গে একটি বার দেখা করতে চাই ,প্লিজ না করোনা।মোহিত অনেক রিকয়েস্ট করলো।মোহনা খুব কষ্ট রাজি হলো।





পরদিন এক রেস্টুরেন্ট এ মোহিত মোহনার অপেক্ষাই বসে এসে….... আর এদিক ওদিক তাকাচ্ছে মোহনাকে একটি বার দেখার জন্য।দুর থেকে হলুদ রঙের শাড়ি পরে মোহনা আসছে।মোহনাকে দেখে মোহিত আত্নহারা হয়ে পরলো।


ঠিক তখনই মোহনার হাত এর দিকে দেখলো এক গুচ্ছ লাল চুড়ি, সিঁথি তে লাল সিঁদুর ,গলাই মঙ্গল সূত্র।মোহিত এসব দেখে নিশ্চুপ হইয়ে গেলো। চোখ দিয়ে জল পড়তে লাগলো মোহিত এর।মোহনা মোহিত এর কাছে গিয়ে মোহিত কে দেখতে থাকলো ,যে ভালোবাসা টা একদিন সে পেতে চেয়েছিলো,আজ মোহিত এর চোখের জল দিয়ে ভাসছে।.....মোহনা নিজের হাত তাকে নিয়ে গিয়ে মোহিত এর গাল এ রাখলো....মোহিত তার হাত তাকে দুই হাতে চেপে ধরলো আর কাঁদতে লাগলো............








                     Edited by : Salma




গল্পটি ভালো লাগল অব্বস্যই জানাবেন কমেন্ট করে.......


Pls pls pls like share comment and subscribe.....
My youtube channel#Salmayeasmin

Link

https://www.youtube.com/channel/UCeDZbtUCvKtBR0wkmDq-ZVg


Wednesday 15 April 2020

বন্ধু থেকে ভালোবাসা

বন্ধু থেকে ভালোবাসা




কান্নায় ফেটে পরা চোখে বুকে কষ্ট নিয়ে আমি, "অনিক" এর দেওয়া লেটার টা হাতে নিয়ে "দেবপ্রিয়আ" কে দিলাম।আমি ওখানে দাঁড়িয়ে আছি সে লেটার টা খুলে দেখলো সেটা শান্তনুর দাওয়া লাভ লেটার।"দেবো প্রিয়া" খুব খুশি মনে ফিলিং নিয়ে লেটার টা পরলো ।আমি কাদতে কাদতে ,সেখান থেকে "অনিক" এর কাছে চোখের জল মুছে গেলাম আর বললাম যে তোর কাজ হয়ে গেছে।'অনিক" খুব খুশী হইয়ে দেবো প্রিয়ার কাছে গেলো ,দুজনের মধ্যে কথোপকথন হলো একে অপরকে জড়িয়ে ধরলো।



অনিক প্রপোজ করল দেবু "আই লাভ ইউ" দেবু ও লাভ ইউ টু .....অনিক ,...বলল।আমি কলেজের ক্যান্টিন থেকে বাগানের মধ্যে তাদের ভালোবাসার রাসলীলা দেখছিলাম।.............."আমি" আর "অনিক" বেস্ট ফ্রেন্ড একে অপরকে সব শেয়ার করি ।অনিক আমার ছোটবেলা কার বন্ধু। কি করে ওর হাসি খুশী কে মাটিতে মিশিয়ে দেবো "অনিক" হ্যাপী তো আমিও হ্যাপি।ওখানে না থাকতে পেরে আমি দৌড়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে পরলাম ,সোজা বাস্টান্ড এ গিয়ে বাস ধরলাম। কখনও ভাবিনি, যে যাকে আমি তুই তুই করি, যার সঙ্গে দিন রাত ঝগড়া করেছি,মারপিট করেছি ,তাকে একদিন ভালোবেসে ফেলবো, আর এটাও ভাবিনি যে আমি তাকে অন্য কারো হতে দেখবো।



........... বাড়ি পৌঁছলাম,এসে নিজের রুমে দরজা লাগিয়ে "অনিক" এর সঙ্গে জড়ানো স্মৃতি গুলি তাজা করলাম।ওর সঙ্গে কাটানো দুষ্টু মিষ্টি দিন গুলি, ওর সঙ্গে সব জাইগা ঘুরে বেড়ানো ........।..........এদিকে মা ফোন করেছে আমি খেয়েছি কিনা ? কলেজ থেকে ফিরেছি কিনা? কারণ মা আমার নানি মা কে দেখতে গেছিলেন।আমি বললাম হ্যা মা খেয়েচি।এই বলে ফোন টা কেটে কাদতে শুরু করলাম। হটাৎ "অনিক" এর কল আসলো,আমি অনিক এর কল এর অপেক্ষায় ছিলাম কেননা রোজ "অনিক ,আমি" অনেক রাত পর্যন্ত মজা করি,কলেজের দেওয়া কাজ, কথা বলতে বলতে করি।অনিক বললো "মেরি" তুই আজকে না বলে কেনো চলে এসছিলি ???আমি চুপ করে শুনছি অনিক বার বার হ্যাল্লো হ্যাল্লো করছে কিন্তু আমি কথা বলার সাহস পাইনা, কারণ অনিক আমার কান্নার আওয়াজ শুনলে নিজেও কেদে ফেলবে আর রাতা রাতি আমার বাড়ি আসবে।আমি চুপ করে রইলাম। কল টা কেটে আমি "অনিক" কে ম্যাসেজ দিলাম যে "অনিক" আমি তোর উপর রেগে আছি,"অনিক" বলে উঠলো কেনো রে কি হয়ছে???মেরি প্লিজ সত্যি বলনা কি হয়েছে??আমি বললাম যে তুই আজ এত হ্যাপি দেবু কে পেয়ে তবুও পার্টি দিলিনা??অনিক বলল, মেরি ,কাল কে আমি, তুই আর দেবু, তিন জনে মিলে পার্ক এ যাবো ওকে।আমি সেন্সলেস হয়ে গেলাম এই কথা শুনে।মনে হচ্ছে কেউ যেনো আমাকে হাতুরি মেরে তির দিচ্ছে বুকে।আমি মেসেজ করলম ওক ডান! অনিক , ঘুমিয়ে পড় অনেক রাত হয়েছে।


........পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি অনেক এর ৩০মিসকল ,আমি ব্রাশ করে স্নান সেরে তৈরি হলাম।দরজা খুলতেই দেখি অনিক আমার জন্যে দাড়িয়ে।অনিক কে কাছে পেতে এক মুহূর্তের জন্যে মনে হলো অনিক কে নিয়ে অনেক দূরে চলে যাই যেখানে শুধু অনিক আর আমি,আর কেউ না।.........অনিক আর আমি বাস ধরলাম,বাস এ কিছু ছেলে আমার দিকে খারাপ নজরে তাকাচ্ছিলো।অনিক এসব দেখে বাস থেকে নামতে বললো ,আমি বললাম কেনো???অনিক বলল আজকে আমরা কলেজ তো যাবনা তাই চলনা আজ হেঁটে যাই ,,আমি খুব খুশি হলাম এই কথা শুনে।অনিক বললো একটু হেটে গেলেই দেবু কে ওখান থেকে নিয়ে পরের বাস এ পার্ক এ যাবো। অবশেষে দেবুর কাছে পৌঁছলাম বাস এ অনিক আমাকে বসার শিট করে দিল।অনিক আর দেবু দাড়িয়ে রইল হতে হাত ধরে।আমি নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারলাম না।চোখ ঘুরিয়ে নিলাম।পার্ক এ নামলাম।পার্ক এ দেবু র অনিক একে অপরের সঙ্গে খুব ঘনিষ্ট ভাবে ঘুরছিল ,নিজেকে খুব একা লাগলো........….....





মনে হলো একদিন এই পার্ক এ অনিক আর আমি কতদিন এসছি সেই দিন শুধু অনিক আর আমি ছিলাম কতইনা মজা করেছিলাম আমরা।তারা দুজনে একে অপরকে এটা ওটা দেখাতে ব্যাস্ত।আমি একা বসে রইলাম।অনিক প্রথম প্রেমে পড়েছে প্রথম প্রেমের অনুভব ই আলাদা। হঠাৎ অনিক এর কলেজ থেকে কল এলো যে,কলেজ এ আজ মিটিং আছে।প্রত্যেক কেই উপস্থিত থাকতে হবে। তৎক্ষণাৎ আমরা তিন জনে ওখান থেকে কলেজ e পৌঁছলাম।মিটিং শেষ এ অনিক আমি আর দেবু বাগানে বসলাম।দেবু অনিক এর আর নিজের ছবি উঠাচ্ছিল।তার পর অনিক চলে গেলো ।আমি আর জল আটকে রাখতে পারলাম না।দেবু আমার কাঁদা দেখে কি হয়েছে মেরি বলে উঠলো??আমি বললাম কই দেবু আই অ্যাম ওকে।সঙ্গে সঙ্গে আমি বাড়ির পথে চলে এলাম ।দেবুর আমার প্রতি সন্দেহ হোয়েছিল। বাড়ি এসে নিজের কষ্ট ডাইরি তে লিখতে লাগলাম প্রতিটা মুহূর্তের কথা কষ্টের কথা লিখতে শুরু করলাম।এই ভাবে ৫দিন  কেটে গেলো।আমি কদিন ধরে কলেজ যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছি,অসুস্থতার নামে ।নইলে অনিক কে কিছুই লুকানো অসম্ভব,কারণ আমি অনিক আর দেবো প্রিয়া কে একসঙ্গে দেখতে পারিনা খুব কষ্টের মধ্যে থাকতে হয়।পরদিন কলেজ গেলাম প্রাকটিস ক্লাস এর জন্যে।ভেবে ছিলাম অনিক কে কিছুই জানা বনা কলেজ এসছি এটা,কিন্তু বাকি ফ্রেন্ড রা অনিক কে বলে দিয়েছে।তাই আমি ভেবে ছিলাম অনিক কে বলব আমার ফোনে টা খারাপ তাই জানতে পারিনি।অনিক এলো আমি তাই বললাম।অনিক এর সঙ্গে দেবু ও এলো।দেবু আমায় জিজ্ঞাসা করলো কেমন আছে তোমার শরীর?? তুমি ঠিক আছো তো??আমি বললাম হ্যাঁ।অনিক বললো মেরি চল টিফিন খেয়ে নিই,আমি বললাম অনিক,আজকে আমার খিদা নেই ,তুই আর দেবু খেয়ে নে,এই বলে আমি চলে গেলাম সেখান থেকে।আমি ক্লাস এ বসে আছি তখন কেউ ছিলনা আমি একা, ………………





ডাইরি বের করে আবার লিখতে লাগলাম। হঠাৎ ক্লাস এ সবাই টিফিন শেষ এ চলে আসলো ,দেখি দেবু আর অনিক ও এসে গেছে।দেবু আমার কাছে আসার সঙ্গে সঙ্গে আমি ডাইরি টা ব্যাগ এ ভরে দিলাম।কলেজ এর অফিস এ আমায় প্রিন্সিপাল এর ডাক এলো।আমি অনিক কে বললাম আমি অফিস থেকে আসছি অনিক বললো চল আমিও যাই তোর সঙ্গে।আমি বললাম,না তোকে আসতে হবে না তুই দেবুর কাছে থাক।দেবু বলে উঠলো ,অনিক যাক মেরি,দুজনেই আসো।এদিকে আমরা প্রিন্সিপাল এর অফিস এ গেলাম।দেবুর আমার ডাইরি তে নজর পরে ছিল, আমি এই কারণেই ভয়ে অনিক কে আসতে নিষেধ করেছিলাম। যত তারা তারি সম্ভব কাজ সেরে আমি ক্লাস রুম এ এলাম,ব্যাগ খুলে দেখলাম ডাইরি আছে না নেই।তখন দেবু সেখানে ছিল না,এটা দেখে মন টা শান্তি পেলো।ক্লাস শেষ এ আমি অনিক দেবু কে খুঁজছি, দেবু ক্লাস করেনি, কোথায় দেবু,??অবশেষে দেবু অনিক বলে ডাকলো,দেবু বললো যে আজ আমার ক্লাস এ মন ছিলনা ,তোমাদের আসতে লেট হলো তাই বলে আসা হইনি।এর পর আমরা বাড়ি ফিরলাম।পরের দিন দেবুর জন্ম দিন,তাই অনিক আমাকে একটা সারপ্রাইজ প্ল্যান করতে বললো। কি কি করবে দেবুর জন্ম দিনে ওকে কি উপহার দেওয়া যায় সারারাত আমার সঙ্গে ডিসকাস করলো।আমি মনে কষ্ট আটকে তাকে ভালো কিছু সারপ্রাইজ ,গিফট সাজেস্ট করলাম।
অনিক একটা রেস্টরেন্টে দেবুর জন্মদিন পালন করবে,আমাকে টাইম এর আগে যেতে হবে এই জিদ করলো।…………………………

পরদিন সকাল বেলা নিজেকে আর থামাতে পরলাম না।অনিক এর দেওয়া সমস্ত কিছু কে ছুড়ে ফেললাম,ব্যাগ থেকে ডাইরি বের করে দেখি যে ডিয়ারির কিছু পেজ নেই।আমি চমকে গেলাম।এসব কি বাকি পেজ কোথায় গেলো???এই চিন্তা করছি পুরো রুম সার্চ করলাম,কিন্তু পেলাম না।আমি ডাইরি টার সমস্ত পেজ ছিড়ে ছুড়ে দিলাম। হঠাৎ পিছন ঘুরে দেখি অনিক আমার পেছনে অঝর নয়নে কাঁদছে!অনিক এর হাতে কিছু ছেরা পৃষ্ঠা,অনিক এর কাছে গিয়ে দেখলাম সেটা ছিল আমার ডাইরির পৃষ্ঠা!আমি ছুড়ে ফেলা পৃষ্ঠা গুলোকে কুড়িয়ে নিয়ে কাঁদতে কাঁদতে রুম থেকে বেরোবো,দেখি সামনে দেবু!আমি থমকে দাঁড়ালাম,অনিক আমার কাছে এসে বলে উঠলো ,মেরি ........ আমি ঘুরতেই আলতো ভাবে  একটা চর মারলো.....আমি গাল এ হাত দিতেই অনিক আমাকে জড়িয়ে ধরলো।আমি তখন জ্ঞান হারা অবস্থায় রইলাম।ঠিক কিছুই বুঝে উঠতে পারছিলাম না। ………………


দেবো প্রিয়া আমাদের কাছে এসে বললো, মেরি আমি তো প্রথম দিনই সন্দেহ করেছিলাম যে তোমার মনে অনিক এর জন্য কিছু ফিলিংস আছে,তবে কনফার্ম ছিলাম না।কল কলেজ এ তোমার ডাইরি পরে সব বুঝলাম। আর এটাও বুঝলাম যে ভালোবাসার মানুষটিকে খুশি দেখতে পেয়ে নিজে কষ্টের জীবন কিভাবে কাটিয়ে তিল তিল করে ব্যাচা যাই।তুমি অনিক এর খুশির জন্যে চুপ চাপ সহ্য করে গেছে।....…........তাই আমি ভাবলাম তোমাদের বন্ধুত্ব তাকে একটা ভালো রিলেশন এ বেঁধে দিলে সব থেকে বেশি ভালো হয়।কেননা অনিক মেরির কষ্ট দেখতে পারবেনা।অনিক আমি যখনই টাইম এসপেন্ড করতাম অনিক মেরির গল্পই করত,আমি তো আমার সঙ্গে অনিক এর নাম যোগ করার চেষ্টা করতাম আর অনিক তো মেরি আর অনিক এর নাম নিয়েই থাকতো।....….......দেবো প্রিয়া বলল যে,মেরি তোমার ডাইরি টা পরে আমি ,সঙ্গে সঙ্গে ওখান থেকে চলে গেছিলাম।তার পর তোমাকে কিছুই বুঝতে দেইনি,।রাত্রি বেলা আমি অনিক কে সব কিছু বলে ছিলাম।আর আজ সকালে আমি আর অনিক দুজনে তোমার কাছে এসছি।.…..….…....….…………ভালোবাসা তো তোমাদের মতই হওয়া জরুরি যে একে অপরের এত কেয়ার করবে,পরোয়া করবে,।.....…....এই বলে দেবু চলে গেলো।অনিক আর আমি দুজনে এক মিষ্টি দুষ্টু সম্পর্কে বেঁধে পরলাম।…………..……………………যার নাম বন্ধুত্ব ভালোবাসার এক পূর্ণ রূপ।





                    Edited by:
                                      Salma yeasmin





আমার এই বন্ধুত্বের প্রেম গল্পো টা কেমন লাগলো অবশ্যই কমেন্ট করে জানা বেন আর অপরকে জানানোর সুযোগ করে দেবেন সেয়ার করে।


Pls follow me on YouTube channel#Salmayeasmin
And always subscribe my channel
Like share r comments korte vulben na 


Tuesday 14 April 2020

                              শুভ নববর্ষ

Monday 13 April 2020

হারিয়ে যাওয়ার দেশে

                             হারিয়ে যাওয়ার দেশে


  1.                                     

এমত অবস্থায় আমার কোলে তার মাথা , আমার নয়ণ দুটি অশ্রু গোপন,তার চোখে চোখ রেখে অশ্রুর সমুদ্রে ডুবে আছি।বুকের ভেতর টা ফেটে যাচ্ছে ,,মনে হচ্ছে কেউ হইতো তির মারছে বুকে,অলস সেই হৃদয় টা আজ প্রতি খনে খনে টের পাচ্ছে ভালোবাসআর মানুষটিকে হারানো এর মহূর্ত টা,টের পাচ্ছে আজ তার মর্ম,পলকে পলকে তাকিয়ে দেখি, তার কপালে চুম্মন দিচ্ছি,সে আমকে জানালো তার শেষ ইচ্ছার কথা,ইচ্ছাটি ছিল দুজন মিলে কোথাও ঘুরতে যেতে বাইরে কোথাও যেখানে শুধু ও আর আমি।আজ মোটর বাইকে নই সেই সাইকেল এ,বললো তোমার সাইকেল এর সামনে বসে , আমার ঘাড় এ মাথা রেখে দুজন মিলে সবুজের মাঝে ঘুরবো শেষ থেকে শুরু এর মাঝে।দুজনে বেরিয়ে পড়লমাম বিকেল বেলায়, হটাৎ দেখি মেলা বসেছে সেখানে দেখি কজন ছেলে তার দিকে খারাপ দৃষ্টি তে নজর দিচ্ছে,আমি প্রিয়া র হাত ধরে তৎক্ষণাৎ সেই জায়গা ছেড়ে 🍨 আইসক্রিম র ফুচকা খেতে গেলাম,প্রিয়া ফুচকা দেখে লাফিয়ে উঠলো সে বললো :;অরিন্দম: তুমি আমাকে ফুচকা খাইয়ে দেবে , প্লিজ আমার এই ইচ্ছেটা পূরণ করো না আরিন,আমি কিছু না বলেই তাকে খাইয়ে দিলাম ,কারণ প্রিয়া জানে আমি সবার সামনে প্রিয়ার কাছে থেকে দূরত্ব বজাই রাখি, হঠাৎ আমার এক টি কল আসে আমি প্রিয়া কে দার করিয়ে পাশে কল উঠালাম। হঠাৎ দেখি অচেনা নম্বর , হ্যাল্লো বলতেই বলে উঠল তুমি রিয়ার জন্যে ডিভোর্স পেপার রেডি করেছ?? আমি তখনও রিয়ার দিকে তাকিয়ে আছি, দেখি যে রিয়া আমার জন্য একটা হাত ঘড়ি কিনছে : অবুঝ মনের ভেতর একটাই প্রশ্ন এলো রিয়া কে ছাড়া কি আরীন পূর্ণ?রিয়া ছাড়া কি অরিনের জীবন ধন্য??ময়ূরী তখনও ফোনে:হ্যাল্লো অরিন্দম তুমি শুনছো আমি কি বলছি আর হ্যা আমার জন্য বালির ঘাটের মেলা থেকে বড় একটা টেডি নিও:তখন অরিনের মনে পড়লো যে রিয়া কখনোই তার কাছে ভালোবাসআ ছাড়া আর কিছুই চাইনি
😔💭 মনে পড়লো তার রিয়ার একখানা দামী শাড়ি পছন্দ হয়েছিল যখন দেখেছিল আমার কাছে বেশি টাকা নেই সে বলে উঠলো আমার পছন্দ হইনা অরিন, চলনা বাড়ি যাই শরীর টা ভালো যাইনা।আমি সব বুঝে ভাবলাম যে রিয়ার জন্যে কালকে আমি এই শাড়ি টা গিফট করবো। বাড়ি গেলাম , খেয়ে রাত্রে ঘুমোতে যাবো সেই সময় রিয়ার শরীটা হঠাৎ খারাপ হয়ে উঠলো তাকে ধরে আমি বিছানায় বসালাম,রিয়ার বমি শুরু হলো।পাশে এক ডাক্তার এর কাছে নিয়ে গেলাম ।তার পরে শুনলাম আমাদের নতুন সদস্য আসতে চলেছে ,খুশিতে আমি রিয়া কে জড়িয়ে ধরলাম,রিয়া আমকে চুম্মণ দিল মিষ্টি করে।বাড়ি ফিরে ঘুমিয়ে পরলাম।...................এভাবছি ময়ূরী কল কেটে দিয়েছে কখন বুঝতেই পারিনি।রিয়া পাশে এসে বললো অরিন কি হলো তোমার কি হয়েছে?? দাখো না তোমার জন্যে এই ঘড়ি টা নিলাম,কেমন হোয়েছে ??আমি রিয়াকে জড়িয়ে ধরে কাদতে শুরু করলাম।রিয়া কাপতে কাপতে আমকে চুপ করালো।আমরা দুজনে বাড়ি ফিরলাম।রাত্রে রিয়া আমার পছন্দের আলুর পরোটা করেছিল, রিয়া দেখি হাটতে অসুবিধে হচ্ছে ঠিক হাটতে পারছেনা।আমি কোলে তুলে বসালাম আর খাইয়ে দিলাম , ঔষধ দিলাম।রিয়া শুয়ে পরলো আমি ও শুয়ে পরলাম ....…(অরিন আবার ভাবতে শুরু করলো) ডাক্তার এর কাছে থেকে এসে ঘুমিয়ে পরলাম।দেখতে দেখতে ২মাস পেরিয়ে গেলো। অরিন্দম এর মানসিক আর শারীরিক চাহিদা রিয়া তখন মেটাতে পারেনা।অরিন এর হৃদয় যৌনো মিলন চাইছিল কিন্তু এই অবস্থায় রিয়া তার চাহিদা পূরণ করতে পারার মত ছিলনা।অরিন্দম পরের দিন সকালে অফিসে গেলো সেখানে একটা নতুন এমপ্লয় জইন হয়েছিলো,অরিন এর কেবিন এর পাশেই ছিল তার কেবিন। অফিস থেকে সামার ভোকেশন এ জওয়ার প্ল্যান হলো:কিন্তু রিয়া কে এই অবস্থায় ছেড়ে অরিন এর মন কেমন করলো,তবে রিয়া তাকে যেতে বললো।দুদিন পরে বেরিয়ে পড়লো ৭দিন এর টুর এ।এদিকে রিয়া তার বোনকে নিয়ে বাড়িতে থাকতে লাগল।অরিন এর সঙ্গে প্রথম পরিচয় ময়ূরী র বাস এর মধ্যে।দুজন এ একই শিট পেলো।দুজনের মধ্যে বেশ ভাব হলো।হোটেল এ পৌঁছালো, ময়ূরীর পাশের ঘরেই অরিন ছিল।১ ম রাত ভালই কাটলো সবার।সারাদিন ঘোরাফেরা হলো ময়ূরী আর অরিন কাছা কাছি আসতে লাগলো এই ভাবে ২দিন পর হলো।ময়ূরী কে দেখে অরিন এর শারীরিক চাহিদা বেড়ে উঠলো।দুজন দুজনের প্রতি আস হয়ে উঠলো। রাত্রে যখন সবাই ঘুমিয়ে ময়ূরী অরিন কে নিজের রুম এ ডাকলো।তাদের মধ্যে সেক্সক্স রিলেশন হয়ে উঠলো।এই ভাবে বাকি কটা রাত তারা একসঙ্গে কাটলো।তার পর বাড়ি ফিরলো সবাই।রিয়া অরিন এর জন্য দরজাই অপেক্ষা করছে,অরিন কে দেখে জড়িয়ে ধরলো, আর বললো যে আমার জন্যে কি এনেছো??অরিন ময়ূরী কে নিয়ে এতই ব্যাস্ত ছিল যে রিয়ার জন্যে কিছুই নিয়ে আসেনি।অরিন বললো মিথ্যে করে যে তার জন্যে যেটা এনেছিল সেটা বাস এ চুরি হোয়ী গেছে।রিয়া কিছু মনে করলনা।রিয়া একটা জিনিস লক্ষ্য করলো যে অরিন বেবি কে হাত দিয়ে দেখলনা।এদিকে দেখতে দেখতে ৭মাস পেরিয়ে গেলো।রিয়া একদিন হঠাৎ তার বাবাকে নিয়ে বাজারে গেল কিছু কিনতে।সেখানে সে দেখলো সামনে একটা রেস্টরেন্টে অরিন এর মত একজন ছেলে একটা মেয়ের সঙ্গে বসে আছে।রিয়ার বাবা রিয়া কে বসিয়ে একটা কাজে দোকানে গেল।রিয়ার মন মানলনা,সে রেস্টুরেন্ট এর ভেতরে গেলো,রিয়া দেখে অবাক 😔😔😔😔😔রিয়া দেখল তার ভালোবাসার মানুষটি আজ অন্যের হাতে হাত দিয়ে বসে আছে।রিয়া কাদতে কাদতে সেখান থেকে চলে এলো।বাবার সঙ্গে বাড়ি এলো,অরিন কে এই ব্যাপারে কিছুই জানতে দিলনা।রিয়ার ডেলিভারি র সময় কাছিয়ে গেলো।এদিকে অরিন র ময়ূরী রিয়া কে ডিভোর্স এর প্ল্যান করলো। রিয়ার হঠাৎ ব্যাথা উঠতলাগলো,রিয়া হসপিটাল নিয়ে যাও আ হলো। ডাক্তার বললো বাচ্চা আর রিয়ার মধ্যে আপনি একজন কে বাঁচাতে পারবেন।অরিন তখন হাঁটু পারে বসে গেলো।রিয়াকে হারানোর ভয় তখন অরিন টের পেলো।একদিকে রিয়া অপর দিকে ময়ূরী।অরিন রিয়ার ভালোবাসআর কথা ভুলতে পারেনা।রিয়াকে হারানোর ভোয় তাকে ভেঙে ফেললো।এমত অবস্থায় ময়ূরীর কল,অরিন কেটে দিল। অপারেশন থিয়েটের এ র ভেতর গেলো অরিন রিয়া কে দেখতে।রিয়া কে দেখে সে হাত জোড় করলো র কাদল।রিয়া বললো অরিন্দম.....অরিন্দম একেবারে চুপ কারণ রিয়া অরিন্দম নই অরিন বলে।রিয়া বললো তুমি আর আমার নেই তবে এটুকুই বলবো যে আমার মত তোমাকে কেউ আর ভালোবাসতে পারবেনা।তোমার ভাগ্য খারাপ যে তুমি আমকে হারাবে।ভাগ্য তোমার সাথ কেনো দাইনা অরিন্দম??অরিন্দম শুধুই কেদে ফেললো।রিয়া বললো অরিন্দম.... যে, যাকে ঠিক যত খানি ভালোবাস এ সে তাকে ঠিক তত খানিই ঘির্ণ্যা করে।অরিন্দম তুমি ময়ূরী কে নিয়ে সুখে থেকো....আরিন্দ চেয়ে রয়লো অবাক চোখে যে রিয়া এসব কিছু আগেই জানত??? রিয়া বললো অরিন আমার বাচ্চার কিছু হতে দিওনা ,এটা আমাদের সরি আমার ভালোবাসার নিশানি।তুমি আমকে না বাঁচিয়ে বাচ্চা কে বাঁচাও।কারণ তোমার জীবনে আমার কোনো অস্তিত্ব নেই। আমার বেবি,, তোমাকে দেওয়া আমার সেরা উপহার।রিয়া অজ্ঞান গেলো।...........রিয়ার জ্ঞান ফিরলো দেখলো সে একজন অন্য রুমে আছে।রিয়া নার্স কে বললো যে তার বেবি কোথায়?? নার্স বললো যে শি ইস নো মোর।সে কান্নায় ফেটে পরলো। অরিন রিয়ার জন্যে খাবার নিয়ে এলো।দেখলো রিয়া শুয়ে কাঁদছে।অরিন বললো রিয়া খেয় এ নাও।রিয়া কোনো উত্তর না দিয়ে চুপ থাকলো। এইভাবে কদিন কেটে গেলো রিয়া কে বাড়ি নিয়ে যাওয়া হলো।ময়ূরী অরিন কে বার বার কল দেই কিন্তু অরিন ব্যাস্ত আছি বলে কেটে দায়।....….....…..... অরিন রিয়ার খুব যত্ন নিলো।অরিন এর ভাবা শেষ হলো............অরিন ঠান নিলো r রিয়া ছাড়া কেউ নই রিয়া ছাড়া আমি শূন্য রিয়া কে আমি মানিয়ে নতুন জীবন শুরু করবো কিছুদিন পরে ফ্যামিলি প্ল্যান করবো আর রিয়ার পাশেই থাকবো সকাল হলেই রিয়াকে মানিয়ে নেবো......…..,সকাল হলো দেখে যে রিয়া তাকে জড়িয়ে ধরে শুয়ে আছে।অরিন খুব খুশি ভাবলো রিয়া হইতো মাফ করে দিয়েছে,কারণ জানত রিয়া তাকে ছাড়া কিছুই ভাবতে পারেনা।রিয়া কে জড়িয়ে বুকের মাঝে নিয়ে দেখলো রিয়া কেমন জানি হোয়ে গেছে।রিয়া। রিয়া রিয়া বলে ডাকতে লাগলো দেখলো রিয়ার হাতে একটা লেটার।।।।।তাতে লেখা আছে কাল তোমার উকিলের কল এসছিল, কাল ডেকেছে তোমাকে আর আমকে আমাদের ডিভোর্স এর জন্যে।হইতো আমার যাওয়া আর হবেনা ......কারণ আমি আমার নাম এর থেকে তোমার নাম জড়ানো কোনো দিনও আলাদা করতে পারবোনা।।। হ্যাঁ সেটা সম্ভব তখনই হবে যখন আমি এই পৃথবীতে আর থাকবনা।।।।।।খুব ভালোবাসি তোমাকে।।।।।।।।। ময়ূরী কে নিয়ে হ্যাপি থেকো❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️










….......... ইতি,
রিয়া

  আমি চললাম....................... হারিয়ে যাওয়ার দেশে



Edited by:

Salma Yeasmin




আপনাদের কেমন লাগলো অব্বশ্যই কমেন্টস করে জানাবেন






Sunday 12 April 2020

হৃদয় ভাঙা মন

কাউক নীরবে মনের অন্তরালে ভালোবাসার মত শান্তি কোথাও নেই। কেননা ভালোবাসা যখনই প্রকাশ করবে হৃদয় তখনই কাঁদবে।।।।।।

                                  Edited by:Salma yeasmin

Featured post

চুল সিল্কি করার সহজ টিপস

চুল সিল্কি এক রুক্ষতা নিয়ে মাথা খারাপ করছেন? তাহলে শুনুন বেশি মাথা ঘামিয়ে লাভ নেই, তাতে চুল সিল্কি হবে না। বরং ট্রাই করুন আজকের দুটি হেয়ার প...