Wednesday 3 June 2020

চুল সিল্কি করার সহজ টিপস



চুল সিল্কি







এক রুক্ষতা নিয়ে মাথা খারাপ করছেন?

তাহলে শুনুন বেশি মাথা ঘামিয়ে লাভ নেই, তাতে চুল সিল্কি হবে না। বরং ট্রাই করুন আজকের দুটি হেয়ার প্যাক আর কিছু টিপস। দেখবেন এক সপ্তাহে চুল রেশমের মত নরম ও উজল হয়ে উঠেছে। তাহলে পড়ে নিন আজকের লেখা।

পলিউসান, রোদের তেজ, ধুলোবালির জন্য আজকাল প্রায় রোজ শ্যাম্পু না করে বাইরে বের হওয়া যায় না। রোজ রোজ শ্যাম্পু করার ফলে চুলে থাকা প্রাকৃতিক তেল নষ্ট হতে থাকে। যা থেকে চুল হয়ে ওঠে রুক্ষ ও প্রাণহীন। তাই নিয়মিত কয়েকটা বিষয় খেয়াল রাখুন।




চুলে তেল মালিশ








শ্যাম্পু না করে যখন থাকতে পারেন না তখন প্রায় সপ্তাহে ৩ থেকে ৪ বার নারকেল তেল দিয়ে ভালো করে চুল মালিশ করুন। স্নানের ১ ঘণ্টা আগে চুলে তেল লাগিয়ে নিন তারপর শ্যাম্পু করে নিন। আর যদি ঠাণ্ডা লাগার ধাত না থাকে, তাহলে রাতে চুলে তেল লাগিয়ে শুয়ে পরুন। সকালে উঠে শ্যাম্পু করে নিন।চুলের পুষ্টির জন্য খুবই উপকারি এটি।

রোজ রোজ শ্যাম্পু না করে মাঝে মাঝে ড্রাই শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। এটি করার জন্য চুলে জল ঢালার দরকার নেই। যখন খুশি এটা করা যায়। চুল সিল্কিও থাকে আর কোন রকম ক্ষতিও নেই এতে। ভাবছেন কি এই ড্রাই শ্যাম্পু? কোথায় পাবেন? দোকানে কিনতে পাওয়া যায়। আজকাল অনলাইনে পেয়ে যাবেন। তবে বাড়িতেও বানিয়ে নিতে পারেন খুব সহজেই।


এই হেয়ার প্যাকটি সপ্তাহে দুদিন করে ব্যবহার করবেন। এক ঘণ্টা চুলে লাগিয়ে রেখে শ্যাম্পু করে নিতে পারেন। ভালো ফল পাওয়ার জন্য একমাস এটি লাগিয়ে যেতে পারেন।

উপকরন

পাকা কলা একটা, মধু ২ চা চামচ, হাফ বাটি টকদই।

পদ্ধতি

সাধারণ চুলের পরিমানে একটি কলাতে প্যাক বানানো যায়। যদি আপনার চুল খুবই লম্বা হয় তাহলে চুলের মাপ অনুযায়ী কলা যোগ করতে পারেন। প্রথমে কলার পেস্ট বানান। এবার সাথে মধু ও দই ভালো করে মিশিয়ে নিন। তিনটি উপকরন মেশানো হয়ে গেলে ১৫ মিনিট পর চুলে হেয়ার প্যাকটি লাগাতে শুরু করুন। এই হেয়ার প্যাকটি সপ্তাহে দুদিন করে ব্যবহার করবেন। এক ঘণ্টা চুলে লাগিয়ে রেখে শ্যাম্পু করে নিতে পারেন।


এই হেয়ার প্যাকটি সপ্তাহে তিনদিন করে ব্যবহার করবেন। এক ঘণ্টা চুলে লাগিয়ে রেখে শ্যাম্পু করে নিতে পারেন। ভালো ফল পাওয়ার জন্য একমাস এটি লাগিয়ে যেতে পারেন।
২.

উপকরন

কাঁচা ডিম দুটো, ২ চা চামচ, একটা পাতিলেবুর রস, নারকেল তেল ৩ চা চামচ।

পদ্ধতি

প্রথমে ডিম ফাটিয়ে ডিমের হলুদ অংশ বাদ দিয়ে দিন। এবার একটি বাটিতে ডিমের সাদা অংশ নিন। একে একে মধু, লেবুর রস, নারকেল তেল মেশান। এবার ভালো করে সারা চুলে লাগিয়ে ১ ঘণ্টা অপেক্ষা করুন। হাতে কাজ না থাকলে আমাদের হোম পেজে অন্যান্য লেখা পড়তে পারেন। চুল শুকিয়ে এলে ভালো করে শ্যাম্পু করে নিন। প্যাকটিতে ডিম থাকায় মাথা দিয়ে ডিমের বাজে গন্ধ আসবে। তাই যতক্ষণ না ডিমের গন্ধ যাচ্ছে ততক্ষণ শ্যাম্পু করে নিন। এই হেয়ার প্যাকটি সপ্তাহে তিনদিন করে ব্যবহার করবেন। ভালো ফল পাওয়ার জন্য একমাস এটি লাগিয়ে যেতে পারেন।

আজ সহজ দুটি টিপস আর হেয়ার প্যাক আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। নিয়মিত এইগুলি ট্রাই করলে চুলের জেল্লা বৃদ্ধি হওয়ার সাথে সাথে চুলের পুষ্টিও দ্বিগুণ হবে। তবে এসবের পাশাপাশি ডায়েটের ক্ষেত্রেও খেয়াল রাখবেন। বেশি তেলে  ভাজা ভুজি খাবেন না। শরীরের সাথে সাথে চুলের জন্য ভালো না।



Edited by:Salma Yeasmin

My YouTube channel:
https://www.youtube.com/channel/UCeDZbtUCvKtBR0wkmDq-ZVg

Others channel:https://www.youtube.com/channel/UC3u_8aE-4HG01EEaMzBk9Aw

Monday 20 April 2020

নীল আকাশের চাঁদনী

নীল আকাশের চাঁদনী



আকাশ তার বাবাকে স্টেশন নিতে যাবে, প্লাটফরম এ বসে রয়েছে বাবার অপেক্ষাই। দূর থেকে দেখলো ট্রেন ঢুকছে,সে দাঁড়িয়ে পড়লো, 🚆 ট্রেন ঢুকে পড়েছে,ইতি মধ্যে তার সঙ্গে এক ভদ্র মহিলার ধাক্কা লেগে গেলো, মেয়েটির হাত থেকে তার ব্যাগ, মোবাইল পরে গেলো।আকাশ মেয়েটার দিকে তাকিয়ে , আর চোখ ফিরাতে পারলনা.... লম্বা লম্বা সোজা সোজা চুল,চোখে কাজল,ঠোঁটে লিপিস্টিক,একটা সালওয়ার হলুদ রং এর।আকাশ শুধু তার দিকেই চেয়ে রইল।এদিকে আকাশ এর বাবা আকাশ এ খুঁজে পাইনা।মেয়েটি রেগে তাকালো আকাশ এর দিকে,অনেক কথা শোনাতে লাগলো। হঠাৎ চাঁদনী বলে ডাক আসায় সে সাড়া দিল। চাঁদনী তার বাবা কে দেখে সেখান থেকে চলে এলো,আকাশ কে ধাক্কা দিয়ে।
আকাশ এর বাবা তৎক্ষণাৎ আকাশ কে খুঁজে পেলো।দুজনে বাড়ি ফিরলো।আকাশ দিন রাত চাঁদনী এর কথা ভাবতে লাগলো।
তার পর হটাৎ একদিন এক শপিং মল এ,চাঁদনী এসছিল,আকাশ ও তার বন্ধুদের সঙ্গেির পিছন করলো,এই ভাবে আকাশ তার বাড়ি পর্যন্ত গেলো।
পরের দিন থেকে আকাশ তার বাড়ির সামনে গাড়িতে বসে থাকে ,চাঁদনী যেই বেরোলো,আকাশ তার পিছন পিছন গেলো।
চাঁদনী অটো থেকে নেমে দেখলো সেই স্টেশন এর ছেলেটি তার পিছন করছে।
এই ভাবে আকাশ পিছন পিছন যাই,চাঁদনী বড্ড রেগে গেলো।চাঁদনী তার সামনে গিয়ে দাঁড়ালো, আর বলতে লাগলো,কি হচ্ছে এটা?তুমি আমার পিছন কেনো করছো??আকাশ বলল হায়!!আমি আকাশ,আমি জানি তুমি চাঁদনী।
চাঁদনী বললো তো কি হয়েছে,কি চাও তুমি?আকাশ চুপ রইল।চাঁদনী চলে গেলো।
এই ভাবে কিছুদিন পেরিয়ে গেলো।
আকাশ প্রতি দিনই,তার বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে লাগলো।চাঁদনী জানালা দিয়ে দেখতো, আর সঙ্গে সঙ্গে জানালা বন্ধ করত।
একদিন রাস্তায় চাঁদনী বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিল, হঠাৎ রাস্তাই অটো খারাপ হয়ে গেলো,সে হাটতে শুরু করলো,ঠিক তখনই কিছু ছেলে তার পিছন করলো। সে দৌড়তে লাগলো,ছেলে গুলো তার পিছু দৌড়াচ্ছে,সেই মোমেন্ট এ আকাশ বাইকে ওই পথ দিয়ে আসছিল,সে চাঁদনী কে দেখে গাড়ি দাড় করলো।চাঁদনী আকাশ কে দেখে থেমে গেলো।আকাশ কে সামনে দেখে ছেলে গুলো সেখান থেকে পালিয়ে গেলো।


আকাশ চাঁদনী কে বাইকে চাপতে বললো,চাঁদনী তার দিকে রেগে তাকালো, আর বললো আমি কখনোই তোমার বাইকে চাপবনা।আকাশ সেখানে ততক্ষণ দাড়িয়ে থাকলো যতক্ষণ না চাঁদনী অটো পেলো।
চাঁদনী কে অটোই চাপিয়ে আকাশ নিজেও গেলো।
পরদিন সকালে চাঁদনী ঘুম থেকে উঠে দেখল প্যাসেজ এ একটি চিরকুট, আর কিছু গোলাপের কুড়ি।লিখা আছে ,চাঁদনী আমি তোমাকে প্রথম দেখেই পাগল হয়ে গেছি,যেদিন থেকে তোমাকে দেখেছি সব ভুলতে শুরু করেছি।চাঁদনী , প্লিজ আমার ভালোবাসা কবুল করো কেমন। আর রাস্তায় একা চলা ফেরা করোনা ,তোমার কিছু হলে আমি বেঁচে থাকতে পারবনা।চাঁদনী নিচে তাকিয়ে দেখলো আকাশ সেখানে দাঁড়িয়ে রয়েছে। চাঁদনী চিরকুট টা তার সামনে ছিড়ে ফেললো।আকাশ তার পর চলে গেলো হাসতে হাসতে।
হঠাৎ আকাশ এর মা আকাশ কে বললো,যে কাল আমরা একটা বিয়েতে যাবো সপরিবার এ।আকাশ কোনো মতেই রাজি নয়,বিয়েতে গেল সে চাঁদনী কে দেখতে পাবে না।
কোনো ভাবে আকাশ এর মা তাকে যাওযার জন্যে রাজি করলো।
পরের দিন তারা বিয়েতে গেলো,আকাশ এর কোনো কিছুই ভালো লাগেনা।আকাশের মা বিয়ে বাড়িতে আকাশ এর জন্যে মেয়ে খুঁজতে লাগলো,আর আকাশ কে বললো কোনো মেয়ে ভালো লাগলে বলিস আকাশ,এই ভাবে হাসা হাসি করতে লাগলো।আকাশ ভাবলো তার বউ একমাত্র চাঁদনী ই হবে অন্য কেউ না।
আকাশ বসে আছে ,এমন সময় চেচামেচি এর আওয়াজ শুনে সে সেখানে গেলো,গিয়ে দেখলো, চাঁদনী সেখানে দাড়িয়ে রয়েছে।সে চাঁদনী কে বিয়েতে দেখে অবাক রয়ল,আকাশ দেখলো চাঁদনী র চোখে জল,চাঁদনী তার বাবাকে জড়িয়ে ধরে আছে।চাঁদনির বাবা চাঁদনী ভেতরে নিয়ে গেলো।আকাশ লুকিয়ে লুকিয়ে সব শুনলো,চাঁদনির বাবা চাঁদনির জন্য পাত্র ঠিক করেছে,কিন্তু চাঁদনী বিয়ের জন্যে রাজি নেই.......…...আকাশ তার বাবা কে আসতে দেখে লুকিয়ে পড়লো,চাঁদনির বাবা যাওযার সঙ্গে সঙ্গে,সে চাঁদনির কাছে গেলো,আকাশ কে দেখে চাঁদনী,অবাক চোখে তাকিয়ে রইলো।চাঁদনী বলে উঠলো তুমি??এখানে কি করছ এখানেও পিছনে পিছনে চলে এসছো? এখান থেকে চলে যাও।


আকাশ চাঁদনী কে অনেক বোঝানোর চেষ্টা করলো,চাঁদনী কোনো মতেই বুঝতে চাইলো না।।

আকাশ রেগে সেখান থেকে নিচে চলে এলো।আকাশ এর মা আকাশ এর জন্যে একটা মেয়ে পছন্দ করেছে,তার ই এক রেলাটিভ,আকাশের মা পরিচয় করিয়ে দিল একে অপরের সঙ্গে,আকাশ মেয়েটির সঙ্গে কথা বলছিল,চাঁদনী নিচে এসে দেখলো আকাশ কে অন্য মেয়ের সঙ্গে কথা বলতে।
চাঁদনী কে দেখে আকাশ ওর কাছে এলো,চাঁদনী তবুও আকাশ কে ইগনোর করলো।
চাঁদনী বাইরে ফাঁকা জাইগাই চলে গেলো,একটা নদীর ধরে গিয়ে একা বসলো,আকাশ চাঁদনির পাশে গিয়ে বসল,চাঁদনী শুধু চুপ করে বসেই আছে আর নদীর দিকে তাকিয়ে রয়েছে।


আকাশ চাঁদনির হতে হাত রেখে বললো প্লিজ ওই ভাবে কান্নাকাটি করোনা,তোমার চোখে জল আমাই ভালো লাগেনা।খুব ভালোবাসি তোমায়।

চাঁদনী তখন আকাশ কে যত পরলো কথা শোনাল..
.......প্লিজ আমার লাইফ থেকে দূর হও।চাইনা আমি তোমাকে চাইনা তোমার ভালোবাসা,দিন রাত আমার পিছনে কেনো পরে থাকো।কোনো প্রতিদিন আমার বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে আমাকে বিরক্ত করো???আমার চোখের সামনে থেকে দূর হও এক্ষনি, আর যেনো কখনোই তোমাকে আমি আমার সামনে না দেখি....আর কখনোই আমার বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে রইবে না,। আকাশ বললো চাঁদনী এই ভাবে বলো না আমি মরেই যাবো।চাঁদনী বললো তুমি মরলে আর বাঁচলে আমার কোনো কিছুই যাই আসে না। লিভ মি আলোন......





আকাশ এটা শোনা র পরে চাঁদনী কে শুধু এটাই বললো, শোনো এত রাত্রে একা এখানে থেকোনা ,তুমি যতক্ষণ না বাড়ি যাচ্ছ আমিও এখানেই থাকবো।
চাঁদনী উফফফ......বলে সেখান থেকে সোজা বাড়ি গেলো।
অনেক্ষন পর, চাঁদনী আকাশ কে খুঁজছে কিন্তু আকাশ কে খুঁজে পাচ্ছে না এদিক ওদিক তাকাচ্ছে,কিন্তু খুঁজে পাইনা।
চাঁদনী আকাশ এর মা কেউ আকাশ কে খুঁজ তে দেখলো।
চাঁদনীর তখন টেনশন হতে লাগলো আকাশ এর জন্যে।
চাঁদনী আর থাকতে না পেরে বাইরে দিকে দেখলো,উপরে দেখলো,রাস্তা দেখলো কিন্তু আকাশ কে দেখতে পেলনা।
চাঁদনী তখন ছটপট করতে লাগলো আকাশ কে না দেখতে পেয়ে।
এদিকে আকাশ কে সবাই খোঁজা খুঁজি করতে লাগলো।
আকাশ এর মা আকাশ এর জন্যে খুব ভেঙ্গে পড়লো।চাঁদনী আকাশ এর মায়ের কাছে গিয়ে তার যত্ন নিলো,।চাঁদনী ও খুব কেঁদে ফেললো।
অনেক রাত ,তবুও আকাশ এর কোনো খোঁজ মেলেনা।
চাঁদনী তার মায়ের কাছে আকাশ এর ফোন নাম্বার নিয়ে কল লাগলো,কিন্তু ফোন বন্ধ।
চাঁদনীর মা চাঁদনী কে ঘুমানোর জন্যে নিয়ে এলো,কিন্তু কোনো মতেই তার ঘুম আসেনা,আকাশ এর জন্যে তার মন কাঁদছে,আকাশ কে ও অনেক কথা শুনিয়েছে,আকাশ এর যদি কিছু হই তো কি হবে এই সব তার মাথায় আসতে লাগলো।
চাঁদনী সারারাত ধরে দরজাই অপেক্ষা করতে লাগলো,কিন্তু আকাশ এর কোনো খোঁজ নেই।
সকাল হয়ে গেলো.........চাঁদনির পরিবার বাড়ির জন্যে তৈরি.....চাঁদনী কোনো মতেই বাড়ি যেতে চাইনা,চাঁদনী আকাশ এর মায়ের সঙ্গে দেখা করতে চাইলো,কিন্তু জানতে পরলো যে ওরা রাত্রেই চলে গেছে।
চাঁদনী অবশেষে বাধ্য হলো বাড়ি যেতে,,....…..চাঁদনী আকাশ এর কোনো খোঁজ পেলনা। হঠাৎ তার মনে এলো আকাশ এর ফোন নাম্বার তার কাছে আছে,সে তাকে কল করলো,কিন্তু কল এ পেলনা।
চাঁদনী সেই শপিং মল এ গেলো যেখানে আকাশ এর সঙ্গে দেখা হইছিলো।সেখানে সে আকাশ কে খুব খুঁজলো কিন্তু পেলনা।
চাঁদনী পাগলের মত হইয়ে গেলো,সে দিন রাত প্যাসেজ এ বসে রইলো যদি আকাশ তাকে দেখতে আসে,চাঁদনী নিজেও জানতে পারেনি যে সে আকাশ কে ভালবেসে ফেলেছে।
এদিকে চাঁদনির বিয়ের লোক এলো,চাঁদনী র বাবা একজন পুলিশ,একজন পুলিশ এর সঙ্গে চাঁদনির বিয়ে দেউয়ার তার খুব ইচ্ছে।
চাঁদনী ও যে প্রথম দেখায় আকাশ কে লাইক করে ফেলেছিল,সে আজ বুঝছে।
চাঁদনী আবার শেষ বারের মত আকাশ এর ফোন চল করলো,কল উঠতেই চাঁদনী আকাশ বলে চেচিয়ে উঠলো,আকাশের মা বললো কেদে কেদে বললো আমি ওর মা,আকাশের অ্যাকসিডেন্ট হয়েগেছে তাই সে এক্ষণ  মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে।
চাঁদনীর হাথ থেকে মোবাইল পরে গেলো,সে আর কিছুই বলতে পরলো না।
চাঁদনীর কোনো মতেই জ্ঞান ফিরছেনা।চাঁদনির বাবা চাঁদনীকে হসপিটাল নিয়ে গেলো,চাঁদনী অজ্ঞান অবস্থায় শুধু আকাশের ই নাম নিলো।
চাঁদনীর বাবা মা বুঝতে পারলো চাঁদনী আকাশ নামের এক ছেলেকে ভালোবাসে।
চাঁদনী বাবার একটাই মেয়ে ,তাই তার বাবা নিজেকে দোষ দিতে লাগলো এক সব কিছুই তার জন্যে হয়েছে।।
জোর করে বিয়ে দিতে গিয়ে এসব হলো,সঙ্গে সঙ্গে তার বাবা বিয়ে ক্যান্সেল করলো।
চাঁদনী র পরের কেবিন এই ছিল আকাশ এর কেবিন।দুজনেই একে অপরকে অনুভব করলো।
চাঁদনীর জ্ঞান ফিরলো,চাঁদনী তখন একাই কেউ নেই পাশে,তার মন বলছিল যে আকাশ হইতো তার আশপাশেই আছে।সে উঠে দাড়ালো,চুপি চুপি সে বাইরের পরিবেশ দেখলো,সে দেখলো,বাবা মা তার চোখ বন্ধ করে বসে আছে।এই সুযোগ এ সে আকাশ কে খুঁজতে লাগলো।চাঁদনী পাশের কেবিন এ গেলো,সেখানে গিয়ে সে আকাশ কে দেখতে পেলো।
চাঁদনী দেখলো আকাশ শুধু চাঁদনী চাঁদনী করছে।চাঁদনী কাছে গিয়ে আকাশ এর কপালে একটা চুমু দিল।।।
চাঁদনী পিছন ফিরে দেখলো আকাশ এর মা!!
চাঁদনী সব কিছু তার মা কে বলে ফেললো, আর ইউও বললো যে আমি আকাশ কে কখন ভালোবেসে ফেলেছি নিজেও জানিনা।তবে এটুকু জানি আকাশের কিছু হলে চাঁদনী নিঃস্ব হয়ে যাবে।
চাঁদনীর শব্দ পেয়ে তার বাবা চাঁদনির কেবিন গিয়ে দেখলো চাঁদনী নেই।সে চাঁদনী বলে ডাকতে লাগলো,চাঁদনী বেরিয়ে এলো।
তার বাবা তাকে জড়িয়ে ধরলো, আর বললো মা তুই কেমন আছিস???তুই এখানে কি করে এলি??চাঁদনী বললো বাবা জল তেষ্টা পেয়ে ছিল তাই ......ঠিক আছে মা বলে তার বাবা,সেই রাত্রেই তাকে বাড়ি নিয়ে এলো।
পরদিন সকালে তার বাবা আকাশের সম্পর্কে জানতে চাইলো।
চাঁদনী আর ভয় না করে সব বলে ফেললো।
এরপর তিন জনে মিলে আকাশ এর কাছে গেলো।
আকাশ এর জ্ঞান ফিরেছে,আকাশ চোখ বন্ধ করে চাঁদনির কথা ভাবছিল।আকাশের মা চাঁদনির অসুস্থতার কথা তাকে জানালো।
এটা শুনে আকাশ স্যালাইন খুলতে যাবে চাঁদনী সেখানে গিয়ে হাজির।..........চাঁদনী তার হাত ধরে ফেললো,আকাশ চাঁদনী কে দেখে খুব খুশি হলো,।
চাঁদনীর বাবা ,বিয়ের প্রস্তাব রাখলো,আকাশের বাবা মা দুজনেই সম্মতি দিল বিয়ের।
কিছু দিনের মধ্যে আকাশ সুস্থ হইয়ে পরলো
চাঁদনী তার মনের কথা আকাশ কে জানালো,যে সেই আকাশ কে কত টা ভালোবাসে।.......দুজনের মধ্যে সব পারফেক্ট হইয়ে গেলো।
১ মাস পর তাদের বিয়ে হলো,দুজনে খুব সুখের সংসার করতে লাগলো,কিছু দিন পর চাঁদনী প্রেগনেন্ট হলো।
আকাশ তার খুব যত্ন নিলো,তার খুব খেয়াল রাখলো,তার ডেলিভারি র ডেট হলো.....
আকাশ ও চাঁদনির ছেলে সন্তান হলো যার নাম হলো নীল.......
আকাশ চাঁদনী কে বললো এত দিন তুমি শুধু আকাশের চাঁদনী ছিলে ,কিন্তু আজ তুমি নীল আকাশের চাঁদনী হইয়ে পূর্ণ হলে।
             Edited by:salma yeasmin

গল্পটি পরে আপনাদের কেমন লাগলো অবশ্যই জানাবেন






Saturday 18 April 2020

Motivation


সময় থাকতে সাবধান করা তোমার কর্তব্য।
পরবর্তীতে এর সম্মুখীন এ দাঁড়ানো তার দায়িত্ব।।

Motivation speech




Smart hou tobe
 atotau over smart hoyena,
je border proti lojja,somman
sroddha,kora vule jau।।


স্মার্ট হও তবে
 এতটাও ওভার স্মার্ট হওনা যে,
 বড় দের প্রতি লজ্জা, সম্মান, শ্রদ্ধা,করা ভুলে যাও।।

Friday 17 April 2020

Hindi sairy(Motivation)

           

    Sairy


Asal mein bure to wo log banjate hain jo sach ko muh per bolna pasand karte hain.


                            Edited by: Salma





 https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=878355929244532&id=685722435174550

Thursday 16 April 2020

তোমার বদলে যাওয়া(Sad story bangla)

তোমার বদলে যাওয়া 





মোহিত তখন কফি ক্যাফে বসে ফ্রেন্ডস দের সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছে ,এমন সময় ফোনের ঘন্টি বেজে উঠলো।দেখলো যে মেসেজ এসছে,খুলে দেখলো তো, মোহনার মেসেজ। মেসেজ এ লিখা ছিল যে , কাল কে আমাকে দেখতে বিয়ের লোক আসছে।তুমি আমার রিপ্লাই টাও দিচ্ছনা কেনো??এতটা ইগনোর করছো কেনো?? চলো বাড়ি থেকে পালিয়ে যাই , আমার হাতে আজকের দিন টাই আছে প্লিজ অত রাগ ভালনা মোহিত। আমার কল এর উত্তর দাও প্লিজ এর পর আর বাড়ি থেকে বেরোতে পারবোনা।মোহিত শুধু ম্যাসেজ সিন করলো জবাব দিলনা ,ইগনোর করলো।মোহনা বললো,মোহিত? অন্য কে বিয়ে করলে তুমি হ্যাপী তো??মোহিত তবুও ম্যাসেজ এর কোনো রিপ্লাই দিল না, তারপর তখনই মোহনা আবার কল করল।মোহিত কল টাকে বার বার কেটে দিচ্ছে আর  ফ্রেন্ডস দের সঙ্গে কথা বলছে হাসা হাসি করছি। হঠাৎ ই সুইমিং পুলের দিকে চোখ গেল মহিতের ,দেখলো মোহনা সেখানে দাড়িয়ে থেকে তার দিকে তাকিয়ে রয়েছে ,মোহিত যেই তাকিয়েছি মোহনা মোবাইল টা দেখতে লাগলো আর সেখান থেকে কাঁদতে কাঁদতে চলে গেলো।


মোহিত সেখানেই বসে রইলো আর গেল না।পরদিন সকাল বেলাই ঘুম থেকে উঠে মোহিত মোহনার ম্যাসেজ গুলো পড়তে লাগলো।..........হটাৎ মনে পড়লো আজ বিয়ের লোক আসবে। মোহনার জন্যে তার খুব মনটা খারাপ করছিল। আর থাকতে না পেরে মোহনা কে ম্যাসেজ দিল । ..........................মেসেজ করলো ,কি করছো মোহনা ??আমি তোমার সঙ্গে দেখা করতে চাই এখন।কোনো রিপ্লাই দিলনা সে,কিন্তু ম্যাসেজ সিন এলো।..…......…......আজ মোহনা কে দেখতে আসবে মনটা খুব ছোট পট করছে।কোনো কিছু তেই শান্তি পাইনা।


ওদিকে মোহনা তৈরি হচ্ছে বিয়ের লোক আসছে তাই,মোহিত এর ম্যাসেজ পরে সে কান্নাই ফেটে পরলো।রিপ্লাই দিতে গিয়েও সে গেলনা।মোহনার দিদি মোহনা কে নিতে এসছিল ,নিচে লোকজন এসছে তাই।এদিকে বর পক্ষের মোহনাকে খুব পছন্দ, আর মোহনার বাড়ি থেকেও বর পক্ষের ফ্যামিলি ,ছেলে সব কে খুব পছন্দ।তাই দুই পক্ষ মিলে বিয়ের দিন পাকা করে ফেললো।মোহনা কাঁদতে কাঁদতে প্যাসেজ এ গিয়ে দাঁড়ালো,তার ওই ভাবে ছুটে আসা দেখে ছেলেটার সন্দেহ হলো,তাই তার পিছন সেই ছুটে এলো,......মোহনাকে জিজ্ঞাসা করলো তার লাইফ এ কেউ আছে কিনা??আর সে কোনো কাদছে   সে জিজ্ঞাসা করলো।মোহনা বললো পরিবার কে ছেড়ে যাব বিয়ে করে তাই ।কখনও পরিবার কে ছেড়ে থাকিনি তো তাই মনটা খারাপ করছে।ছেলেটা বলে উঠলো মোহনা আমি তোমাকে খুব হ্যাপী রাখবো।এইসব কথা শুনে মোহনা আরও কাঁদতে লাগলো,আর ভাবলো আজ যদি মোহিত এর জাইগায় থাকতো আর আমাকে বলত এসব কথা ,কত ভালো লাগতো।
মোহনা মোহিত কে খুব ভালোবাসতো,মোহিত জন্যে সে সব কিছু ত্যাগ করতে রাজি ছিল।কিন্তু মোহিত সময় থাকতে মোহনার মূল্য দেইনি।

এদিকে মোহিত মোহনার অপেক্ষায় বসে থাকলো,কিন্তু মোহনা এলোনা।মোহিত দিনের পর দিন মোহনার অপেক্ষাই বসে থাকে মোহনা আজ কল করবে,আজ মেসেজ করবে।মোহিত জানত মোহনা তাকে ছাড়া অন্যকে কখনোই বিয়ে করতে পারবেনা।যতই ঝামেলা হক না কেনো।


হঠাৎ মোহিত তার পুরনো কথা গুলোকে মনে করলো.…..কেনো তাদের মধ্যে ঝামেলা হোয়েছিলো।আসলে একদিন মোহনার ব্যাগ এর ভেতর কে লাভ লেটার লিখে পুরে দিয়েছিল।মোহনা এবাপারে কিছুই জানত না, হঠাৎ মোহিত মোহনার ব্যাগ থেকে মোবাইল বের করতে গিয়ে লেটার টা হাতে পেলো।


লেটার টা এমন ভাবে ছিল,যেনো মোহনা আর মোহিত কে একে অপরের কাছে থেকে আলাদা করা যাই।ঠিক তাই হলো মোহিত মোহনার কোনো কথা শুনলনা মোহনার সঙ্গে অনেক ঝামেলা করলো,এমনটি তাকে চাপর মারলো।মোহনা তবুও মোহিত কে বার বার বোঝানোর ট্রাই করেছে।এমনকি দোষ না করেও মাফ চেয়েছে।


হটাৎ পর দিন সকালে মোহিত মোহনার বাড়ি যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলো।বেরোবে ঠিক সেই সময় একটা ফ্রেন্ড এর কল এলো, আর মোহনার ব্যাগ এ কে লেটার পুরে ছিল তার সম্মন্ধে মোহিত কে জানালো।মোহিত নিজেকে কোনো মতই সামলাতে পারলনা।পুনরায় সে বাড়ি তে এলো,আর ভাবলো কোন লজ্জাই সে মোহনার কাছে যাবে,কিভাবে তাকে তার দিকে তাকাবে।....….....



মোহিত কোনো মতই নিজেকে মাফ করতে পারলনা,

সে পুনরায় মোহনাকে কল লাগলো ,বিয়ের ১মাস ধরে মোহিত মোহনাকে কল এ পাইনি।দেখলো কল রিং করছে মোহিত এর মন খুব খুশি হলো।


মোহনা কল ধরে হ্যাল্লো বললো:....…….........মোহিত বললো মোহনা।মোহনা চুপ রইলো,মোহিত মোহনাকে বললো মোহনা আমি তোমার সঙ্গে একটি বার দেখা করতে চাই ,প্লিজ না করোনা।মোহিত অনেক রিকয়েস্ট করলো।মোহনা খুব কষ্ট রাজি হলো।





পরদিন এক রেস্টুরেন্ট এ মোহিত মোহনার অপেক্ষাই বসে এসে….... আর এদিক ওদিক তাকাচ্ছে মোহনাকে একটি বার দেখার জন্য।দুর থেকে হলুদ রঙের শাড়ি পরে মোহনা আসছে।মোহনাকে দেখে মোহিত আত্নহারা হয়ে পরলো।


ঠিক তখনই মোহনার হাত এর দিকে দেখলো এক গুচ্ছ লাল চুড়ি, সিঁথি তে লাল সিঁদুর ,গলাই মঙ্গল সূত্র।মোহিত এসব দেখে নিশ্চুপ হইয়ে গেলো। চোখ দিয়ে জল পড়তে লাগলো মোহিত এর।মোহনা মোহিত এর কাছে গিয়ে মোহিত কে দেখতে থাকলো ,যে ভালোবাসা টা একদিন সে পেতে চেয়েছিলো,আজ মোহিত এর চোখের জল দিয়ে ভাসছে।.....মোহনা নিজের হাত তাকে নিয়ে গিয়ে মোহিত এর গাল এ রাখলো....মোহিত তার হাত তাকে দুই হাতে চেপে ধরলো আর কাঁদতে লাগলো............








                     Edited by : Salma




গল্পটি ভালো লাগল অব্বস্যই জানাবেন কমেন্ট করে.......


Pls pls pls like share comment and subscribe.....
My youtube channel#Salmayeasmin

Link

https://www.youtube.com/channel/UCeDZbtUCvKtBR0wkmDq-ZVg


Featured post

চুল সিল্কি করার সহজ টিপস

চুল সিল্কি এক রুক্ষতা নিয়ে মাথা খারাপ করছেন? তাহলে শুনুন বেশি মাথা ঘামিয়ে লাভ নেই, তাতে চুল সিল্কি হবে না। বরং ট্রাই করুন আজকের দুটি হেয়ার প...